নানুর, বীরভূম:  'বাঁধ না থাকলেও হবে, বালি থাকতে হবে, তাহলেই পার্টি চলবে' নানুরে (Birbhum Nanoor) অজয় নদের বাঁধ নিয়ে তৃণমূলকর্মীরই (TMC Worker) মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিধায়ক ! অজয় নদের বাঁধের বেহাল দশার অভিযোগ, এলাকায় গিয়ে প্রশ্নের মুখে বিধায়ক। এদিকে, 'বাঁধ না থাকলেও চলবে, কাটমানি থাকলেই হবে, ঠিকই বলেছেন', বাঁধ নিয়ে তৃণমূলকর্মীরক মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণে বিরোধীরা। 


'বাঁধ না থাকলেও হবে, বালি থাকলেই পার্টি চলবে'


'বাঁধ না থাকলেও হবে, বালি থাকতে হবে, তাহলেই পার্টি চলবে', হাসতে হাসতে মন্তব্য তৃণমূলকর্মীর, তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়লেন বিধায়ক ! 'বাঁধ না থাকলেও চলবে, কাটমানি থাকলেই হবে, ঠিকই বলেছেন', বাঁধ নিয়ে তৃণমূলকর্মীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণে বিরোধীরা। যদিও পাল্টা 'গণতান্ত্রিক দেশ, যে যা খুশি বলবে, আমরা আমাদের কাজ করে যাব', বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পাল্টা জবাব নানুরের তৃণমূল বিধায়কের। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বালি দুর্নীতি এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এনিয়ে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বিতর্কে জড়িয়েছেন হেভিওয়েট নেতারাও। তবে প্রকাশ্যে এভাবে বালি নিয়ে তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ অস্বস্তিতে ফেলল দলকে।  


বালি তুললে সব শেষ, নদীতে তলিয়ে যাবে ৫০০ পরিবার


 তেইশের শুরুতেই ধূপগুড়িতে জলঢাকা নদী (jhaldhaka river) থেকে বেআইনিভাবে বালি (illegal sand) তোলার অভিযোগ ওঠে মাফিয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানিয়ে ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন গ্রামবাসীরা (villagers)। পথ অবরোধও করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দেয় জেলা প্রশাসন। মমিনুর ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, 'জেসিবি নিয়ে বালি তোলার জন্য রাস্তার তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। তখন থেকে পাহারায় রয়েছি।' তাঁদের আশঙ্কা, এর পর বালি তুললে সব শেষ হয়ে যাবে। নদীতে তলিয়ে যাবে ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। 


আরও পড়ুন, ডিভোর্সে সম্মতি, আদালতে সৌমিত্র ও সুজাতা


দিনে-দুপুরে বালি চুরি


ডিসেম্বরের গোড়াতেও পানিহাটি-উত্তরপাড়ার মাঝখানে গঙ্গা থেকে দিনে-দুপুরে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। মাঝ নদীতে নৌকা দাঁড় করিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। সেই বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কামারহাটিতে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা ঘাটে বালি নামানোর কাজ চলছে নিয়মিত। সেই ছবি ধরা পড়ে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায়। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসকের কাছে বালি চুরির অভিযোগ করে। পোর্ট ট্রাস্ট, সেচ দফতর ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। জানানো হয় ব্যারাকপুর ও চন্দননগর কমিশনারেটেও । তদন্তও শুরু হয়।