কলকাতা : এবার গার্ডেনরিচে যকের ধন! ব্যবসায়ীর বাড়িতে এখনও পর্যন্ত ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার। আর এই ইস্যুতে ব্যবসায়ীর তৃণমূল যোগের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকা উদ্ধার, ওনার কপালে ভাঁজ কেন? ওই ব্যবসায়ী নাকি পরিবহণমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গকে পচিয়ে দিল। যত বড় নেতা, তত বড় চোর!’’ গার্ডেনরিচে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা সুজনের। একইভাবে আক্রমণের সুর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Sameek Bhattacharya) গলায়। এদিন তিনি বলেন, “গার্ডেনরিচে যাঁর বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, সে তৃণমূল সদস্য। যেহেতু তৃণমূলের হয়ে ব্যবসা করছে, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না?’’


পাল্টা কটাক্ষ ফিরহাদের: পাগলের মতো কথা বলছেন বলে এদিন শমীক ভট্টাচার্য এবং সুজন চক্রবর্তীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি এদিন তিনি বলেন, "ইডি রেড, ইডি রেড করে ব্যবসায়ীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে বাংলায় থাকলে ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হবে। আসলে বাংলার অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে মনে করি।'' 


ইডি-র অভিযানে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা: মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে কলকাতার ৬টি জায়গায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান। গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে ইডি-র হানায় এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। তল্লাশির আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, দোতলার ঘরে খাটের নীচে প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ছিল ৫০০ ও ২ হাজারের বান্ডিল বান্ডিল নোট। আনা হয়েছে টাকা গোনার ৮টি যন্ত্র। ইডি সূত্রে খবর, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল ব্যাঙ্কের তরফে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, মোবাইল গেমিং অ্যাপ ই-নাগেটসের মাধ্যমে ৬৫-৭০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন ব্যবসায়ী আমির খান। 


মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ড: মোবাইল গেমিং অ্যাপে কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা? অভিযোগ, প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা জেতার অফার দেওয়া হত অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। অনলাইন লটারির মাধ্যমে খেলায় টাকা জেতানোর নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। শুরুতে কমিশনের ভিত্তিতে পুরস্কার দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে প্রতারকরা। কমিশনের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে ঢুকে যাচ্ছিল। এরপর ফাঁদে পা দিয়ে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা মাত্রই টাকা তোলার অপশন বন্ধ করে দিয়ে সার্ভারের সব অ্যাডমিন ও অ্যাপ্লিকেশন ডিটেল মুছে দেওয়া হয়। এভাবে প্রায় ৬৫-৭০ কোটি টাকা বাজার তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: Anis Khan Death Update: বাড়িতেই আক্রান্ত সলমন খান, বিক্ষোভের মুখে সিআইডি ও পুলিশ