সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: গার্ডেনরিচকাণ্ডের (Garden Reach Update) জের। ইডি-র হানার পরেই ক্লোজ করা হল পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street Police Station) তদন্তকারী অফিসার এসআই পৃথিবেশ মিস্ত্রিকে। অনলাইন মোবাইল অ্যাপ প্রতারণার অভিযোগে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে আমির খানের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। চলতি মাসের ১০ তারিখ গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপরই তত্পরতা বাড়ে লালবাজারের। ইডি-র হানার দেড় সপ্তাহ পর, ক্লোজ করা হয় পার্ক স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে মূল অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ।


গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি হানায় উদ্ধার হয়েছে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। ইডি সূত্রে দাবি, ধৃত আমির খানের বাড়িতে যে এই বিপুল টাকা মজুত করে রাখা হয়েছে, তা ভাল করেই জানতেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় ওঠে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। ইডি সূত্রে দাবি, টাকার টোপ দিয়ে গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে ২০২০’র ডিসেম্বরে। ২৬ ডিসেম্বর, পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ফেডারেল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ জানানো হয় লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের কাছেও। এই পরিস্থিতিতে ২০২১-এর ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের দ্বারস্থ হয় ফেডারেল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।


গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্লোজ পার্ক স্ট্রিট থানার এসআই : আদালতের নির্দেশে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় আমির খান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। ইডি সূত্রে আরও দাবি, ২০২০’র মার্চে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, সেই পরিস্থিতির সুযোগ নেন গেমিং অ্যাপ প্রতারণার মাস্টার মাইন্ড আমির খান। সেইসময় দিন দিন বাড়তে থাকে E-Nuggets অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রতারণার অঙ্কটাও। প্রশ্ন উঠছে, FIR দায়েরের পর দেড় বছর কেটে গেলেও, কেন সক্রিয় হল না পুলিশ? এই ঘটনায় এবার ক্লোজ করা হল পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street Police Station) তদন্তকারী অফিসার এসআই পৃথিবেশ মিস্ত্রিকে। 


এদিকে ফের শহরে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ। দমদমে নাগেরবাজার থানা এলাকায় হানা দিয়ে ৩ মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরেই নাগেরবাজারের রাষ্ট্রগুরু অ্যাভিনিউয়ে স্কাইলাইন সলিউশনের নামে চলছিল কল সেন্টার। পুলিশের দাবি, চটজলদি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। গতকাল ওই কল সেন্টারে হানা দিয়ে সিমকার্ড, ল্যাপটপ, ওয়াইফাই ফাইবার-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Shantiniketan Update: সন্দেহভাজনকে মুক্তি, শিশুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তেজনা শান্তিকেতনে