সুদীপ্ত আচার্য, দীপক ঘোষ ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: গার্ডেনরিচে (Gardenreach) ব্যবসায়ীর (Business) বাড়ির খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা! শুধুই কি গেমিং অ্যাপের (Gaming app) নামে প্রতারণা? গার্ডেনরিচের সাদামাটা বাড়ির আড়ালে কীভাবে এল কোটি কোটি টাকা? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ED। রাত পর্যন্ত বাড়ির সামনে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। তাঁদের একটাই বক্তব্য ছিল, "ব্যাগ নিয়ে এসেছি, যদি কিছু পাই।" 


কৌতূহলের কেন্দ্রে, কমলা রঙের দোতলা বাড়ি। সামনে লোহার গেট। দরজার একপাশে লেখা F7, অন্যপাশে NA KHAN। একেবারেই সাদামাটা ছাপোষা একটা বাড়ি, কিন্তু গোটা রাজ্যের স্পটলাইট এখন এই বাড়িটির দিকেই নিতান্ত সাধারণ এই বাড়িতেই লুকোনো ছিল টাকার পাহাড়। দিনভর তাই বাড়ির সামনে উত্সুক মানুষের ভিড়। মুহুর্মুহু জ্বলে উঠেছে মোবাইল ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। সেলফিতে বন্দি হয়েছে বাড়ি।                      


গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলির বাসিন্দা, ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে শনিবার কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, "সবাই অবাক হচ্ছে। পাড়াতে সবাই অবাক।" প্রশ্ন উঠছে, মেটিয়াবুরুজ থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের এই বাড়িতে কোথা থেকে এল এত টাকা? কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে বাড়িতে ঢুকল রাশি রাশি টাকা?                                  


আরও পড়ুন, গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে কিল, চড়, ঘুসি জমি জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশ!


প্রতিবেশীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা এই পরিবার বছর দশেক আগে, গার্ডেনরিচে এসে বসবাস শুরু করে। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। এক প্রতিবেশির কথায়, আমরা দিনমজুরি করে ৪০০ টাকা পাই না, এরা এত টাকা কোথা থেকে পেল?


তাই অনেককেই এদিন দেখা গেল ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ির ছবি তুলে রাখছেন ফোনে।  কেউ আবার ব্যাকগ্রাউন্ডে বাড়িটি রেখে সেলফিও তুললেন। ED সূত্রে খবর,
উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রতারণার নেপথ্যে যে অ্যাপের নাম উঠে আসছে, সেই অ্যাপটিকে কোথা থেকে  নিয়ন্ত্রণ করা হত? এই বাড়ি থেকেই, নাকি অন্য জায়গা থেকে? এ কাজে কি আর কাউকে নিয়োগ করা হয়েছিল? এখন এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে ED।