কলকাতা: গরফার (Garfa) শরৎ বোস কলোনি এলাকায় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারে চঞ্চল্য। তাঁকে খুন করে তাঁর সঙ্গী আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। বছর পাঁচেক আগে এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন বছর ৬৫-র গোবরধন শেঠ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই ফ্ল্যাটে নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল তাঁর সঙ্গী বেলেঘাটার (Beleghata) বাসিন্দা বছর ৪৫-এর শান্তি সিংহের। বুধবার গোবরধন শান্তির আত্মীয়দের ফোন করে দাবি করেন তিনি মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন।


এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার হয় গোবরধনের মৃতদেহ (Deadbody)। সঙ্গীকে খুন করে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। মৃত মহিলার আত্মীয়রা ফোন পেয়ে গরফার ফ্ল্যাটে এসে মৃতদেহ দেখতে পান। গরফা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরেই দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি সম্পত্তিগত বিবাদে জেরে এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)।


বাড়িতে খুন দম্পতি: ৭৩-এ হরিশ মুখার্জি রোড। ব্যবসায়ী অশোক শা ও রস্মিতা শা-র বাড়ি। গতকাল এই বাড়িতেই খুন হন গুজরাতি দম্পতি। লন্ডভন্ড ঘর। অবিন্যস্ত বিছানা। ঘরের মেঝেয় চাপ চাপ রক্তের দাগ। ঘটনাস্থলে মিলেছে গুলির খোল। প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাস্তার ধারে ঘর বলে বাড়ির দরজা সবসময় বন্ধ রাখতেন ব্যবসায়ী দম্পতি। তবে কি পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন? সেই সুযোগেই বিনা বাধায় ভিতরে ঢুকে পড়ে আততায়ী? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। লুঠের উদ্দেশ্যেই জোড়া খুন নাকি খুনের পিছনে পরিচিত কারও হাত? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল।


আত্মঘাতী হন CISF জওয়ান: সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার NTPC-তে ডিউটিতে থাকাকালীন সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন CISF জওয়ান। দাবি পুলিশের। মৃত CISF জওয়ানের নাম রামকুমার সিং। বাড়ি বিহারের বেগুসরাইয়ের বারাউনিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে ফরাক্কার NTPC-র ২ নম্বর গেটে ডিউটি করছিলেন ওই CISF জওয়ান। আচমকাই সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের দাবি। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। CISF-এর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।