কলকাতা: রাজ্যে সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় একটি নাম শিরোনাম এসেছে বার বার। তার কারণ তাঁর রায়। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেউ বলেন তিনি অরণ্যদেব, কেউ বলেন তিনি সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। কেউ বলেন তিনি জনগণের বিচারপতি। কেউ বলেন তিনি আইনের এ বি সি ডি-ও জানেন না। বিধাননগরে নিজের ফ্ল্যাটে বসে এবিপি আনন্দের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা উঠে এল নানা প্রসঙ্গ। 


পড়াশুনো থেকে বিচারপতির পদ সেই ফেলে আসা স্মৃতিসরণি নিয়ে এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে'র প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমার খুব সৌভাগ্য আমি অনিন্দ্য মিত্র, বিমল চট্টোপাধ্যায় এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো মানুষদের কাছে একেবারে পায়ের তলায় বসে কাজ শিখেছি। সেই কারণে আজকে আমাকে কোর্টে বসে ঠকানো খুব মুশকিল। একটা বাজে কথা বলে চলে যাওয়া খুব মুশকিল। আমি তাঁদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আরেকজনের কাছেও শিখেছি, যার নাম না বললে অত্যন্ত অন্যায় হবে, তিনি হলেন সলিল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একসময়ের সিপিআইএম-এর রাজ্যসভার সদস্য। তিনি হাতে ধরে আইন কীভাবে পড়তে হয় তা দিনের পর দিন নিজের চেম্বারে বসে তৈরি করেছেন।" 


প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে পাশ করা ছাত্র লম্বা পথ পেরিয়ে আজ বিচারপতি ! জানালেন, আইনের প্রতি ভাললাগা থেকে নয়। বাবা মারা যান কম বয়সেই। বাঙালি মধ্যবিত্ত সংসারে তখন সে-ছেলের উপর অনেক চাপ ! কী করবেন বুঝতে পারছেন না। মন চাইছিল পড়াশোনার মধ্যে থাকতে, তাই হাজরা ল কলেজে ভর্তি হয়ে যাওয়া। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, সে-সময় সহপাঠি হিসেবে পেয়েছিলেন এমন অনেককে যাঁরা বদলে দিয়েছিলেন জীবনদর্শন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, অধুনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি , কলকাতা হাইকোর্টের অনেক প্রথিতযশা বিচারপতিদের। বিচারক জয়মাল্য বাগচী, বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ প্রমুখ।  


সাক্ষাৎকারটি সরাসরি দেখুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে-



আরও পড়ুন, "আমাকে হয়ত পরে মেরে ফেলতে পারেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না", এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক বিচারপতি


একদম খাঁটি বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়া এক ছাত্র অসম্ভব ভঙ্গুর এক রাস্তা পেরিয়ে প্রথমে নিজেকে ডবলুবিসিএস অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আবার সেখানে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় ফিরেছেন আইনি পেশায়। হয়েছেন সফল আইনজীবী থেকে প্রথিতযশা - ব্যতিক্রমী এক বিচারপতি।