সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : এখনও জলবন্দি ঘাটাল। মাঝে দুই একদিন জল একটু নামলেও শুক্রবার থেকে ফের জল বেড়েছে ঘাটালে। জলের তলায় বাড়িঘর থেকে স্কুল, দোকানপাট থেকে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। কার্যত থমকে জনজীবন। কবে উন্নতি হবে পরিস্থিতির? জবাব খুঁজছে অসহায় ঘাটালবাসী। সামনেই পুজো, তার আগে কি একটু স্বস্তির মুখ দেখবে ঘাটালবাসী ? সেই উত্তরই খুঁজছেন প্রত্যেকে এই কঠিন সময়ে।
ঘাটালে ফের জল-যন্ত্রণা। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় ফের জল বাড়তে শুরু করেছে সেখানে। রাস্তা যেন নদী। ঘাটাল পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। পঞ্চায়েত এলাকায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। বেশ কয়েকটি গ্রাম জলের তলায়। এখনও ঘাটালবাসীর যাতায়াতের ভরসা নৌকা অথবা ডিঙি। জমা জলে জনজীবন বিপর্যস্ত। কবে জল নামবে, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফের বৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি আরও কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠবে, তা ভেবেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে ঘাটালবাসীর।
এরই মধ্যে, ঘাটালে চরমে উঠেছে পানীয় জলের সঙ্কট। নৌকা বা ডিঙি চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পানীয় জল নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকদিন ধরে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। কয়েক জায়গায় যদিও ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে জল। জল নামতেই দেখা যাচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট। বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সমস্যা বেড়েছে কয়েকটি জায়গায়। একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের পাকা বাড়ির একতলা এখনও জলের তলায়। ছাদের উপর ত্রিপল টাঙিয়ে কোনও রকমে বসবাস করছেন তাঁরা।
রাস্তাঘাট উধাও। চারদিকে শুধু জল। যাতায়াতের মাধ্যম শুধুই নৌকা । ঘাটালে এই চিত্র প্রতি বছরের। বছর আসে বছর যায়। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু ঘাটাল বদলায় না। এখনও পর্যন্ত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুধু প্রতিশ্রুতিতেই আবদ্ধ। দশকের পর দশক তা থেকে গেছে খাতায় কলমেই। সোমবার, পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে, দাসপুর থেকে কেশপুরে যাওয়ার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। এই আবহে প্রশ্ন এখন একটাই, কবে কমবে ঘাটালের মানুষের কষ্ট?
আরও পড়ুন: RG Kar News: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে 'শর্ট ফিল্ম', দলের রোষে পড়ে TMCP থেকে সাসপেন্ড রাজন্যা-প্রান্তিক
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।