সনৎ ঝা ও বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিপুল পরিমাণে সোনা উদ্ধার শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরে। কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও গোয়েন্দা দফতরের অভিযানে কয়েক কোটি টাকার সোনা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। 


কত টাকার সোনা: 
এদিন উদ্ধার হওয়ার সোনার বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকা। যা উদ্ধার হয়েছে সবই সোনার বার। কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) অভিযানে উদ্ধার। ওই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিআরআই। ধৃতরা হল নির্মলেন্দু পাল, সুজন পাল, পীযূষ পোদ্দার ও সুজিত দাস। ধৃতরা প্রত্যেকে অসমের (Assam) করিমগঞ্জের বাসিন্দা।


ডিআরআই তরফে আইনজীবী রতন বণিক জানান, কলকাতায় সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে শনিবার রাতে ধৃতরা করিমগঞ্জ স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ওঠে। সেই খবর পায় ডিআরআই। গোপন সূত্রে পাওয়া সেই খবরের ভিত্তিতেই চলে অভিযান। রবিবার এনজেপি স্টেশনে (NJP Station) অভিযান চালায় ডিআরআই (DRI)। ট্রেনে উঠে সন্দেহজনক চারজনকে আটক করা হয়।


কোথা থেকে উদ্ধার:
যে চারজনকে আটক করা হয়। তাঁদের দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোমরের বেল্টের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় সোনার বারগুলো (Gold Bar)। ধৃতদের কাছ থেকে ৯০ টি সোনার বার উদ্ধার হয়। যার মোট ওজন ১৮ কেজি। সব মিলিয়ে আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকা। চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলে একদিনের হেফাজতে নিয়েছে ডিআরআই। সোমবার ফের মামলার শুনানি হবে।


এর আগেও সোনা উদ্ধার:
গত বছরের নভেম্বরেও একইরকম ভাবে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছিল সোনা। কলকাতা বিমানবন্দর ( Kolkata International Airport ) থেকে দুবাই ফেরত দুই যাত্রীকে আটক করে শুল্ক দফতর। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত এক ভারতীয় যাত্রীর লাম্বার বেল্ট থেকে ১ কেজি ১০১ গ্রাম ওজনের সোনার পাউডার উদ্ধার হয়। এই সোনার গুঁড়োরই বাজার মূল্য ৫৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৪০ টাকা। ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের হদিশ মেলে। কোথায় সোনা পাচারের চেষ্টা চলছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। সোনা পাচারর চক্রের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছিল তদন্তকারীরা। তার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল, রাশি রাশি সোনার গয়না। চোখ কপালে উঠেছিল বঙ্গবাসীর।         


আরও পড়ুন: ‘অসুবিধা হলে আমাকে বলুন, প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেব’, বিরোধীদের বার্তা অভিষেকের