গোসাবা: গোসাবায় বাঘের হানায় আক্রান্ত বনকর্মী। বনকর্মীর মুখে ও পায়ে থাবার আঘাত লেগেছে। বাঘ তাড়ানোর সময় আচমকা বাঘ বেরিয়ে হামলা চালায়। আহত বনকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালেনতুন বছরের শুরুতেই গোসাবার আরও একটি গ্রামে বাঘের আতঙ্ক। গতকাল চরঘেরি গ্রামের পর আজ সকালে লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরশমণি গ্রামে ঢুকল বাঘ। এদিন স্থানীয় মত্স্যজীবীরা সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর মিত্রবাড়ি জঙ্গলের কাছে গাড়াল নদীর ধারে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। পটকা ফাটিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করছেন বন দফতরের কর্মীরা। গতকাল চরঘেরি গ্রামের জঙ্গলের দিকটি জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তারপরও জায়গা বদল করেছে বাঘ। ফলে আশপাশের এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
এর আগেও বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ৬ দিন পর অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে রয়্যাল বেঙ্গলকে (Royal Bengal Tiger) কাবু করা সম্ভব হয়। কুলতুলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ার জঙ্গলে বাঘকে ফাঁদে ফেলার জন্য ২টি খাঁচা পাতা হয়েছিল। বন দফতর সূত্রে খবর, ২টি ঘুম পাড়ানি গুলি খেয়ে বাগে আসে। বাঘকে কাবু করতে এর আগে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। রাতভর জঙ্গলে ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীরা অভিযান চালান। তারপর আজ সকালে পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীরা প্রথম জল স্প্রে করে বাঘকে সরানোর চেষ্টা করেন। তারপর জঙ্গলে ছোড়া হয় লঙ্কা বোমা।
কুলতলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ায় জঙ্গলে রাতভর বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছিল। জাল ছিঁড়ে সে বেরনোরও চেষ্টা করে, এমন প্রমাণ মেলে। কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পায়নি। রাতে যেহেতু জঙ্গলে আলো জ্বালানো নিষেধ, তাই অন্ধকারে বন দফতরের কর্মীরা ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে জঙ্গলে অভিযান চালান। কিন্তু বাঘের নাগাল পাওয়া যায়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে অভুক্ত বাঘটি যেখানে ছিল, সেখান থেকে তাকে সরানো যাচ্ছিল না। তাই দমকলের সাহায্য নেওয়ার কথা ছিল বন দফতরের। জল স্প্রে করে বাঘটিকে সরানোর চেষ্টা করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর মিলেছিল।