পার্থপ্রতিম ঘোষ, গোসাবা: দীর্ঘ খোঁজের পর অবশেষে গোসাবার কুমিরমারিতে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করা গেল বাঘটিকে। ২টি ঘুম পাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয় বাঘকে। আপাতত বাঘটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত বন দফতরের, এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, লোকালয় থেকে বাঘটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 


এদিন, ৪ নম্বর মিত্রবাড়ির জঙ্গলে সকালে বাঘ দেখা যায়। বাঘের হানায় এক বনকর্মী জখমও হন। এরপরই স্পিড বোটে কুমীরমারির দিকে রওনা হয়েছেন বনকর্মীরা। এর আগে বার বার অবস্থান বদল করছে রয়্যাল বেঙ্গল। সমস্যায় পড়েছিলেন বনকর্মীরা। বাঘবন্দি করতে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল জঙ্গল। মাইকে শোনানো হয় বাঘিনীর গর্জন। ধরা পড়লে ভাল, না হলে জঙ্গলে যাতে বাঘ ফিরে যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 


বনকর্মীদের বক্তব্য, যে বাঘ শুক্রবার দেখা দিয়েছিল গোসাবার লাহিড়িপুরে, শনিবার তার হদিশ মিলেছে পাশের অঞ্চল সাতজেলিয়ায়। একদিনে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। শনিবার সকালে সাতজেলিয়ার চার নম্বর মিত্রবাড়ির জঙ্গলের কাছে দেখা যায় পায়ের ছাপ।                                        


বনকর্মীদের অনুমান, এই জঙ্গলে আপাতত ডেরা বেঁধেছে বাঘ। তাই কৌশল বদলানো হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘ ধরতে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। পাশাপাশি, গাড়াল নদীর ওপারে ঝিলার জঙ্গলে বাঘটি যাতে ফিরে যায় সেই চেষ্টাও চলছে। গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, "বন দফতর এলাকা নেট দিয়ে কভার করছে। সবাই মিলে আছি। বন দফতর নিরাপত্তা দিচ্ছে যাতে বাঘ না ঢোকে।।" সজনেখালি রেঞ্জ এর রেঞ্জার বিশ্বজিৎ দাস বলেন,"চেষ্টা করছি যাতে জঙ্গলের দিকে চলে যায়, যাতে নদীপথে চলে যায়, খাঁচাতে ধরা না পড়লে দফতরের সঙ্গে কথা বলে ঘুমপাড়ানি গুলির ব্যবহার হবে।"কয়েক দিন আগে কুলতলিতে অনেকটা এভাবেই জায়গা বদল করেছিল রয়্যাল বেঙ্গল।