কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পরীক্ষা শুরুর আগেই ডিএলএড-এর (D.EL.ED) প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে। প্রকাশ্য প্রশ্নপত্রের কিছু অংশের প্রতিলিপি। মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে যায় প্রতিলিপির সেই অংশ।" প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই সরকার ও পর্ষদকে অপদস্থ করেছেন।" প্রতিক্রিয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) সভাপতির।                                   


প্রশ্নফাঁস বিতর্কে কী বললেন পর্ষদ সভাপতি? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম পাল বলেন, “সরকারকে কালিমালিপ্ত করার একটা চেষ্টা চলছে। স্বচ্ছতা মেনে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রাথমিক পর্ষদ। ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর সবাই কি প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিচ্ছে? সরকার-পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার একটা চেষ্টা চলছে।’’ দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কথায়, "কোনও পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। বোর্ড আগামীদিনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় তা ছাত্র স্বার্থেই নেবে। এই পরীক্ষা পদ্ধতি যাঁরা যুক্ত তাদের সততা, নিষ্ঠার উপর নির্ভর করে। এটা কোনও ফাঁসের ঘটনা নয়। এটা বিশ্বাসঘাতকতা। পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বাতিল নিয়ে এখনই কিছু বলছি না।''                                                                                                                     


রাজ্যজুড়ে ১৬০টি কেন্দ্রেএদিন পরীক্ষা শুরু হয়। মাধ্যমিকের মতো থানা থেকে আনা হয়েছে প্রশ্নপত্র। দুর্নীতি অভিযোগের মধ্যেই ডিএলএড পরীক্ষা ঘিরে অন্যরকম ছবি দেখা যায়। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সামনে আসে। ‘যা রিপোর্ট পেয়েছি, তাতে নিয়ম মেনেই পরীক্ষা হচ্ছে। সেন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকে বিশৃঙ্খলার কোনও রিপোর্ট পাইনি। আমার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটি ঘোষণার আগে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ নিতে হবে। কিছু হলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে, এটা প্রোটোকল বিরুদ্ধ। প্রোটোকল মেনেই কাজ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অনৈতিক কাজ কিছু বলে আইনি পদক্ষেপ নেবে প্রাথমিক পর্ষদ। ডিইএলইডি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।


আরও পড়ুন: Hooghly Clash: নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র মগরা, অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর