শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সব ঠিক থাকলে নতুন বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তার আগে বারবার কোচবিহারে সামনে আসছে তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্বের ছবি।


বিভিন্ন সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কর্মীদের অসন্তোষের ছবি সামনে এসেছে। নানা সময় কোনও স্থানীয় নেতা প্রকাশ্যেই তাঁর উষ্মার কথা জানিয়েছেন। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল কোচবিহারে। জেলা পরিষদ তাঁকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে আর কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য পরিমল বর্মন। জেলা পরিষদের সদস্য ছাড়াও তিনি এখন জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি। গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 


কী অভিযোগ:
পরিমল বর্মনের দাবি, তাঁকে বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হলেও বোর্ড কোনওরকম মিটিং করছে না। তাঁকে ডাকছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদ বোর্ডের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দাবি মিটিংয়ে ডাকলেও, তিনি আসেন না। 


বারবার কোচবিহারে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও কোচবিহারের মাথাভাঙা। কখনও শৌলমারি, কখনও লতাপোতা। এমন নানা জায়গায় স্থানীয় নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভের ঘটনা সামনে এসেছে। অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন নিয়েও নানা ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামনে এসেছে। কখনও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন  কোনও কোনও নেতা-কর্মী। 


ক্ষোভ সামলাতে পদক্ষেপ:
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনা যাতে সংগঠনে প্রভাব না ফেলে তার জন্য আগেই পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে কোচবিহার তৃণমূল। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি, তৃণমূল নেতা উমাকান্ত বর্মন, মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি, প্রদীপরঞ্জন রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী তথা, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভের ঘটনা সামনে এল। 


জেলার ছবি:
বর্তমানে কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনের মধ্যে সবকটিই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও এক ছবি। ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিই তৃণমূলের দখলে। ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১২৭টি, একটি বিজেপির। যদিও ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে, কোচবিহারে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? সবার নজর সেদিকেই। 


আরও পড়ুন: ভোর রাতে গলায় ত্রিশূল বেঁধা অবস্থায় এনআরএসে হাজির রোগী, ঘণ্টাখানেকের অস্ত্রোপচারে বাঁচল প্রাণ