সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির (Medical Negligence) অভিযোগে কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল। অভিযোগ, সদ্যোজাতকে (Neonatal Death) মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) দেওয়ার পরও নড়েচড়ে ওঠে সে।  বিতর্কে জড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


কী জানা যায়? 
সূত্রের খবর, গত কাল দুপুর ২টো নাগাদ গড়বেতার রসকুণ্ডু  গ্রামের এক মহিলা শিশুপুত্রের জন্ম দেন। গত কালই বিকেল ৫টা নাগাদ সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মাথায় স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে, প্যাকিং করে রাত ৯টা নাগাদ শিশুকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  কিন্তু শেষকৃত্যের সময় নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত শিশুকেই জীবিত বলে ঘোষণা করা হয়, এমনই দাবি। পরিবারের বক্তব্য , ৮ ঘণ্টা ধরে পলিথিনে মোড়া থাকায় সদ্যোজাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তি দাবি করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছে ওই শিশুর পরিবার। তীব্র শোরগোলের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, ঘটনার তদন্ত হবে। 


নতুন নয়...
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নতুন নয়। দিনছয়েক আগে এনআরএস হাসপাতালে কোল খালি হয়ে যায় এক মায়ের। এবার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে বেলেঘাটার বাসিন্দা এক তরুণীর (৩০) মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃতার মা চায়না দে-র অভিযোগ, 'সকালে বড় চিকিৎসক এসে বলল দীর্ঘক্ষণ কিছুই করেনি, খুব খারাপ অবস্থা। কিছুক্ষণ পরেই মারা গেল'। পরিবার সূত্রে খবর, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বুকে ও পেটে ব্যথা অনুভব করেন রিম্পা দে। রাত আড়াইটে নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরিবারের দাবি, কোনও চিকিৎসা ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় তরুণীকে। এমনকী জল, অক্সিজেন চাইলে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের দাবি, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ তাঁদের তরুণীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। মৃতার দিদি টুম্পা দে বলেছেন, 'ওনারা কিছু না পারলে, কেন বললেন না। শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই ঘটনা যেন আর না ঘটে।'বুকে-পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তরুণীর মৃত্যু হয়। সেই তথ্য গোপন রাখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিজনরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


আরও পড়ুন:আজ আইপিএলে কখন, কোথায় দেখবেন গুজরাত বনাম কেকেআর মহারণ?