কলকাতা: সংঘাতের আবহেই, রবিবার মধ্যরাতে বাকি ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC) নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল ( Governor CV Ananda Bose)। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রাশ কার হাতে থাকবে ? চলছে রাজভবন-নবান্ন টানাপোড়েন, রাজভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে।


সংঘাতের আবহেই মধ্যরাতে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের


শনিবার রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ অফিসার। উপাচার্যর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালিত হবে, শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজভবন। রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা, উপাচার্যর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন। উপাচার্যর সম্মতি ছাড়া, সরাসরি রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ মানতে বা কার্যকর করতে তাঁরা বাধ্য নন। শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি রাজভবনের। এবার ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের।


রাজভবন-নবান্ন চরম চাপানউতোর গড়িয়ে যায় আদালতেও


জুনের শুরুতেই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন-নবান্ন চরম চাপানউতোর গড়িয়ে যায় আদালতেও। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা দায়ের করেছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। মামলায় পার্টি করা হয় আচার্য তথা রাজ্যপালকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত বেনজির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।


উপাচার্যের মেয়াদও বৃদ্ধি করেছিলেন আচার্য


 বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত বেনজির জায়গায় পৌঁছে যায়। শিক্ষা দফতরের আর্জি খারিজ করে  রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিয়েছিলেন এমন ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদও বৃদ্ধি করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।     


আরও পড়ুন, রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে টাকা না ফেরানোর অভিযোগ, হাইকোর্টে কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভা


বিধানসভাকে অমান্য করতে চাইছে রাজভবন : শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু


সেসময় রাজভবনের বিবৃতির পরেই ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদনও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সংঘাতের এই মোড়ে পৌঁছে গিয়েও, রাজ্যপাল যে নিজের অবস্থানে অনড় তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, 'রাজভবনের দাবি অসত্য, কোনও আলোচনা হয়নি। যারা আইন বহির্ভূত নির্দেশ মানেনি তাদের অযোগ্য বলছেন রাজ্যপাল। আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। বিধানসভাকে অমান্য করতে চাইছে রাজভবন। স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন নিয়ন্ত্রণ করবে ? গোষ্ঠীকোন্দলকে অনুমোদন করছে।'