কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের (West Bengal State Election Commissioner) জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করলেন না রাজ্যপাল (Governor)। ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস, আলোচনার জন্য না আসার পরেই পদক্ষেপ। রাজীব সিন্হার (Rajiv Sinha) জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল। তাহলে কি আর পদে থাকতে পারবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার? কমিশন নিয়ে হাইকোর্টে কড়া অবস্থানের মধ্যেই পদক্ষেপ রাজ্যপাল। 


জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করলেন না রাজ্যপাল: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভর্ৎসিত হওয়ার পর এবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হার জয়েনিং রিপোর্ট নবান্নে ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি আর পদে থাকতে পারবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?  ভোটের মুখে সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখে রাজ্য়?

পঞ্চায়েত ভোটে লাগাতার অশান্তি, সন্ত্রাস, পরপর মৃত্যুর পরও পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে, শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্য় নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠান। সেদিন, স্ক্রুটিনির কাজে ব্যস্ত আছেন বলে রাজ্যপালকে জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।রাজভবন সূত্রে খবর, একের পর এক অভিযোগ আসছিল।  রাজভবনের পিস রুমে বারবার প্রাণনাশের হুমকির কথা জানাচ্ছিলেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী থেকে প্রার্থীরা।  সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, কনফিডেন্সিয়াল কথা বলার জন্যই রাজীব সিন্হাকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল।  সূত্রের খবর, তিনি না আসাতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার গ্রহণ করলেন না রাজ্যপাল। বুধবার প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার যদি আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত না করতে পারেন, তাহলে তিনি পদ ছেড়ে দিন। রাজ্যপাল নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন।


১৮ মে, রাজ্যপালের কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে প্রাক্তন মুখ্য়সচিব রাজীব সিন্হার নাম প্রস্তাব করে নবান্ন। কিন্তু, রাজ্য সরকারের তরফে মাত্র এক জনের নাম পাঠানোয় প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।জানতে চান, প্রাক্তন মুখ্য়সচিবের নাম পাঠানোর আগে কি মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে? এরপর, আরও দুজনের নাম পাঠানোর পর দীর্ঘ টালবাহানার মধ্য়েই রাজীব সিন্হার নামেই সিলমোহর দেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন উঠছে, ৭ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন রাজীব সিন্হা। ২১ জুন জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল। এর মাঝে একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। তবে, কীভাবে ২ সপ্তাহ ধরে রাজভবনের টেবিলে পড়ে রইল রাজীব সিন্হা জয়েনিং ফাইল?


বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা।লাগামছাড়া অশান্তিতে কোনও চোখে পড়ার মতো পদক্ষেপ নেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এমনকি, এই ধরনের সন্ত্রস্ত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার পর কেন্দ্রের কাছে ২২ জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চান তিনি। ৮ জুলাই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এক মাসও সময় নেই। নির্বাচনের অভিভাবক রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই পদে এখন রাজীব সিন্হার অস্তিত্বই প্রশ্নচিহ্নের মুখে।


আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি