কলকাতা : ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের (Bengal Post Poll Violence) অভিযোগ নিয়ে ফের রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। "রামপুরহাটে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হলে এখানে নয় কেন?" এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে।


ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ নিহত কর্মীদের পরিজনদের নিয়ে রাজভবনে বেনজির দরবার করে বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধর্না মঞ্চ থেকে রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।


পরে এনিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্যে ভোটের পর একের পর এক হিংসা। নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।" পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রামপুরহাটে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হলে এখানে নয় কেন?"


ভোটের ফল ঘোষণার পর, যে খুন এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগগুলো উঠেছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে CBI। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর জেলায় জেলায় তদন্তে যায় সিবিআই। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কম গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে SIT। সম্প্রতি CBI আদালতে জানায়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তারা ৫৮টি FIR দায়ের করেছে। তার মধ্যে, ২৬টি মামলার ক্ষেত্রে পেশ করা হয়েছে চার্জশিট। ২০টি মামলার এখনও তদন্ত চলছে। ২৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২২৪ জনকে।


ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ (Post Poll Violence Allegation) নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে টানাপড়েন চলছেই। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। এনিয়ে দিনকয়েক আগেও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের পর যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা রাজ্যের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কলঙ্ক। 


এর পাশাপাশি ফেসবুকে দিলীপ ঘোষ লিখেছিলেন, ' গণতন্ত্র হত্যার কাজ তৃণমূলের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের হিংসার আর রক্তলোলুপতার বলি হয়েছেন আমাদের ২০০ অধিক কার্যকর্তারা। তাঁদের সকলের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করলাম। '