কলকাতা: "শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) চ্যান্সেলর (Chancellor) করবেন। উনি ওঁকে রাজ্যপালই  করে দিন।'' বাগডোগরায় পৌঁছে কটাক্ষ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar)। "রাজ্যের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। '' শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই দাবি ঘিরেই ফের সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল। আর এবার সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল। 


সম্প্রতি রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের (University) উপাচার্যকে ডেকে পাঠান আচার্য ও রাজ্যপাল। কিন্তু, তাঁর আহ্বানে উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে একের পর এক ট্যুইট করে ক্ষোভ উগড়ে দেন জগদীপ ধনকড়। তৃণমূল সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি ট্যুইট করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটা ভয়াবহ। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপাল-ভিজিটরের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। শিক্ষাক্ষেত্রে দলবাজি চলছে। আইনের শাসন নয়, চলছে শাসকের শাসন। পাল্টা, ট্যুইট করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ঔপনিবেশিক রীতি মেনে, রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার নিয়ম চালিয়ে যাওয়া উচিত, না কি বিশিষ্ট বা শিক্ষাবিদদের এই পদে মনোনীত করা যায়? তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।’’


 শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “দিনের পর দিন ফাইল ধরে রাখে, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব যদি না দেখান, কেরলের রাজ্যপাল যেটা বলেছেন, আমারা বিচার করে দেখব, আলোচনা করে দেখব, দরকার হলে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব, যে অন্তত অন্তবর্তী সময়ের জন্য আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে পারি কি না।’’ আর শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। এদিন বাগডোগরায় পৌঁছে তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকেবিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর করবেন। উনি ওঁকে রাজ্যপালই করে দিন। তাহলেই হয়ত আপনার শান্তি হবে। এই আচরণ অনুচিত।''


আরও পড়ুন: Murshidabad News: 'ওঁর সামনে গিয়ে টেবিলের ওপর পা তুলে বসব' পুলিশকে হুমকির অভিযোগ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে