কলকাতা : বিতর্কের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রাজভবনে আসার অনুরোধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সুবিধামতো সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা করার অনুরোধ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথা ট্যুইট করে জানালেন ধনকড় । 


 






জগদীপ ধনকড় চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘বৈধ বিষয়ে তোলা প্রশ্নের দীর্ঘসময় ধরে জবাব মিলছে না, এ ধরনের পরিস্থিতি সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি করতে পারে’ । তিনি লিখেছেন , ‘বেশ কিছু উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দরকার’ । মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের । এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কী জবাব আসে সেদিকেই রাজনৈতিক মহলের নজর। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাত বেড়েছে। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক বাতাবরণ। 


এই মাসেরই ১৩ তারিখ, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ট্যালিন ট্যুইটারে লেখেন, তাঁকে ফোন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে যেভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, তা নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানান স্ট্যালিন। এই নিয়ে মমতা দিল্লিতে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক ডাকার পরামর্শও দিয়েছেন বলে, ট্যুইটারে লেখেন স্ট্যালিন। এর আগে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সমালোচনায়, ট্যুইট করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি । 

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি, রাজ্যপাল স্থগিত করে দেন বিধানসভার অধিবেশন। ট্যুইটারে অর্ডার কপি শেয়ার করে একথা ঘোষণা করেন জগদীপ ধনকড়। তিনি জানান, ' সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারার ‘২’-এর উপ-দফা ‘ক’-তে দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগে, আমি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা স্থগিত করছি। '