কলকাতা : গ্রুপ-ডিতে ১৯১১ জন অবৈধ চাকরি প্রাপকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এবার তাঁদের মুখেও হাসি ফুটতে চলেছে। 'তিন সপ্তাহের মধ্যে বাতিল হওয়া আড়াই হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে', এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ আজ ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। এর আগে আগে বাতিল হয় ৬০৯ জনের চাকরি। মোট আড়াই হাজারের বেশি চাকরি বাতিল করেছে কমিশন।
এর পাশাপাশি ১ হাজার ৯১১ জনকে প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সিবিআই-কে, এমন নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া 'ওএমআর বিকৃতি করে চাকরিপ্রাপকদের ফেরত দিতে হবে প্রাপ্ত বেতনের টাকা।' মামলায় সুবীরেশ ভটাচার্যের উদ্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই দুর্নীতিতে কোন বড় মাথা রয়েছে, সেই নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। তা না হলে ধরে নিতে হবে এর কিংপিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। নাম প্রকাশ না করলে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে বেশ কিছু ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তাতে দেখা যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ৪ হাজার ৪৮৭ জন ইতিমধ্যে গ্রুপ ডিতে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, ২৮২০টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সিবিআই সেই বিস্তারিত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছিল।
স্কুল সার্ভিস কমিশন পুনরায় সেটা মূল্যায়ন করে আজ কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২৮২৩টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯১১ জন যাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সুপারিশপত্র পেয়েছেন, বাকি সংখ্যাটা নিয়মের কারণে সুপারিশপত্র পাইনি। ফলে, এই ১৯১১ জন যে অবৈধভাবে সুপারিশপত্র পেয়েছেন সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশন কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন ; গ্রুপ ডি পদে চাকরি হারালেন ১,৯১১ জন !