ভাস্কর ঘোষ ,সঞ্চয়ন মিত্র, হাওড়া : গত বছর করোনা কড়াকড়ির মধ্যে একদিনের জন্য খুলেছিল বেলুড় মঠ। এবারও বেলুড়ে সকাল থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল। গুরু শব্দের মানে হল যিনি অন্ধকার দূর করেন। তমসা থেকে জ্যোতির পথে যিনি মানুষকে চালিত করেন। 


স্বামী স্মরণানন্দকে প্রণাম নিবেদন
দীক্ষাগুরুকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে সকাল থেকে প্রতীক্ষা করছেন ভক্তরা। সকাল সাড়ে ১০টায়  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দকে প্রণাম নিবেদন করবেন তাঁরা। করোনার কারণে গত দু’বছর ভক্ত সমাগমে সেভাবে গুরুপূর্ণিমা পালন করা যায়নি।  


২০২১ এ  ২৪ জুলাই ছিল গুরু পূর্ণিমা। করোনা কড়াকড়ির মধ্যেও খোলা ছিল বেলুড় মঠ। তবে কোভিড বিধি জারি থাকায় শুধুমাত্র মূল মন্দিরে প্রবেশ এবং প্রণাম করতে পেরেছিলেন দর্শনার্থীরা। ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেও,  মহারাজদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। বেলুড় মঠের মহারাজরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভক্তদের আশীর্বাদ করবেন।


হিন্দুধর্ম মতে এই দিনটিতে সব গুরুর জন্মতিথি পালিত হয়৷ তাই এই বিশেষ দিনে বেলুড় মঠে হাজির হন মঠের শিষ্য ও দীক্ষিতরা৷ গুরুকে স্মরণ করা হয় ,আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় গুরুকে। গুরু পূর্ণিমার দিন মঠে ঠাকুর-মা-স্বামীজীর বাণী পাঠ, বৈদিক মন্ত্র, স্তোত্র উচ্চারণ, ভক্তি সঙ্গীত হয়। 

গুরু বন্দনা করবেন কোন মন্ত্রে 


অখংডমংডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্ ।
তত্পদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ॥ 


অজ্ঞানতিমিরাংধস্য জ্ঞানাংজনশলাকযা ।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ॥ 


গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণুঃ গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ ।
গুরুরেব পরংব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ॥