অরিত্রিক ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, বেলাইন বিকানের এক্সপ্রেস (Bikaner Express)। ময়নাগুড়ির দোমহনিতে উল্টে যায় পটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস। ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৮ জন আশঙ্কাজনক। বিকেল ৫টা নাগাদ বেলাইন হয়ে যায় ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস। বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে যাচ্ছিল বিকানের এক্সপ্রেস। বিকানের ট্রেনে ছিলেন ৭০০-রও বেশি যাত্রী। সূ্ত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে দুর্ঘটনার খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আইজি উত্তরবঙ্গকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রীর। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল (Jalpaiguri Sadar Hospital) থেকে ইতিমধ্যেই ৫১ টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তুত থাকতে। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী কারণে দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে রেল। ঘটনা প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিংহ জানান, "একটি কোচ উল্টে গেছে, বাকি ৩টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানতে পারছি। হতাহতদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে মোট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। আমাদের দল পৌঁছে গেছে।"
আরপিএফ পাঠানো হচ্ছে এলাকায়। উদ্ধারের জন্য পাঠানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ডিআরএম-সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। যাত্রী বোঝাই চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। একটির ওপর অন্য কামরা উঠে গিয়েছে। ক্রমশ আশঙ্কাজনক হচ্ছে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে আহতদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সন্ধে হয়ে আসার কারণে উদ্ধারকার্যে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের। তবে সূত্রের খবর ইতিমধ্য়েই আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে। গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে বার করা হচ্ছে কামরাগুলি, বের করা হচ্ছে যাত্রীদের। প্রাণ বাঁচাতে ঝাপ দিয়েছে অনেকেই। ইঞ্জিনের পর থেকে সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ১২টি কামরা।