বিটন চক্রবর্তী, সঞ্চয়ন মিত্র, হলদিয়া: রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের মধ্যেই হলদিয়ায় সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডের কাছে দেখা গেল মেসো টর্নেডো। তীব্র গরমে স্থানীয়ভাবে ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুস্তর তেতে ওঠায়, তৈরি হয় ছোট মাপের ঘূর্ণিঝড়। পাক খেতে খেতে উল্লম্বভাবে গরম হাওয়া ওপরে ওঠে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হলদিয়া সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডের কাছে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দেখা যায় মেসো টর্নেডো।
পিচ গলা রোদ্দুর, রাস্তায় বেরোলে যেন ঝলসে যাচ্ছে শরীর, রাজ্য়জুড়ে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ। এরইমধ্য়ে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় দেখা গেল মেসো টর্নেডো। আস্ত এক ধুলোর কুণ্ডলি। তা ক্রমশ শক্তিসঞ্চয় করে ঘূর্ণির আকার নিচ্ছে। হলদিয়ার সিটি সেন্টার বাসস্ট্য়ান্ডের কাছে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দেখা যায় এই ধুলোর ঘূর্ণি।
আশপাশের ধুলোর কণা নিয়ে ঘুরতে থাকে ঘূর্ণি, বেশ কয়েক মিনিট ধরে স্থানীয় হয় মেসো টর্নেডো। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয়ভাবে, আবহাওয়ার তারতম্য়ের কারণেই তৈরি হয় মেসো টর্নেডো। তীব্র গরমে স্থানীয়ভাবে ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুস্তর তেতে ওঠায়, ছোট মাপের এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। পাক খেতে খেতে উল্লম্বভাবে গরম হাওয়া ওপরে ওঠে। পরে শক্তি ক্ষয় করে, তা মিলিয়ে যায়।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রাতেও সর্বকালীন রেকর্ডের দোরগোড়ায় কলকাতা।এপ্রিল মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় সর্বকালীন রেকর্ড ছিল ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সর্বকালীন রেকর্ড ছিল ১৯৮৭ সালে। সে বছর ৫ এপ্রিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১০-এর ২ এপ্রিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৩ বছর পর, ২০২৩ সালে কলকাতায় এপ্রিল মাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের রেকর্ড গড়ল। গতকাল ও আজ পরপর দু’দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।
পয়লা বৈশাখেই রাজ্যের ১৪টি জেলায় ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কাঠফাটা রোদ আর গরম হাওয়া। গত কয়েকদিন ধরেই এমন আবহাওয়ার সাক্ষী থাকছে বঙ্গবাসী। কলকাতায় বেলা বাড়লেই লু বইছে। গতকাল এই শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। উত্তরবঙ্গেও ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ। পার্বত্য ২-৩টি জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মালদা ও দুই দিনাজপুরে লু বইবার সম্ভাবনা রয়েছে।