বিজেন্দ্র সিংহ, দীপক ঘোষ ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ‘বাংলায় (West Bengal) জারি হোক রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents' Rule)’, হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে এই দাবিই জানানো হল। হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপির এই রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা কার্যকর করা অত্যন্ত প্রয়োজন। 


সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপি। 


৩৫৫, ৩৫৬ ধারা জারির দাবি বিজেপির


বিজেপি বিধায়ক ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবি, ‘এটা মানুষের আওয়াজ। মানুষ চাইছে ৩৫৫ হোক, ৩৫৬ হোক জারি করা হোক। মানুষ তো ধারা বোঝে না, মানুষ শান্তি চায়।’


বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘৩৫৫-৩৫৬-র কথা শুধু আমরা বলছি না, সব বিরোধী দল বলছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হলে এছাড়া কোনও পথ নেই।’


বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট


হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কার্যপ্রণালীতে নির্যাতিতার পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, অভিযুক্ত শাসক দল তৃণমূল নেতার ছেলে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সবার আগে ধৃত অভিযুক্তদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্ত জেলের ভিতর থেকেও সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত করতে পারে।’ বিচারপ্রক্রিয়াও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে করা উচিত বলে প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। 


সাম্প্রতিককালে বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা বারবার বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানিয়েছেন। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হল, বঙ্গ বিজেপির বারংবার এই দাবি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ কী করবেন? নাড্ডাই বা কী করবেন?