কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, জয়ন্ত পাল ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: প্রবীণ অধ্যাপককে হেনস্থার অভিযোগে তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। অভিযুক্ত তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনের নেতা। প্রতিবাদে একজোট হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অধ্যাপকরা। চাপের মুখে অভিযুক্তদের শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ।  


অধ্যাপক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য আরও বলছেন, আমি অভিযোগ জানাতে এসেছি রেজিস্টারের কাছে। এরকম ঘটনা অতীতে হয়নি। রেজিস্টার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন কথা বলেছে মুখে আনতে পারব না। 


তবে এই অভিযোগ আজকের নয়! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অধ্যাপকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির নেতারা দেরি করে কলেজে আসেন। রসায়নের বিভাগীয় প্রধান এদিন তার প্রতিবাদ করায়, ক্লাসরুম খুলে দেননি উদয়ভান।  বিভাগীয় প্রধানকেই ক্লাসরুম খুলে নিতে হয়।  


জুটার (JUTA) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, একজন স্টাফ সে দিনের পর দিন ক্লাসরুমের দরজা খুলছে না। দরজা খুলছে না মানে, পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারছে না, শিক্ষকরা ক্লাস করাতে পারছে না। আজ এসে বলছে আমি ঘর খুলব না। বিভাগীয় প্রধান নিজে গিয়ে ঘর খুলেছেন। কিছুক্ষণ পর সেই ব্যক্তি বিনয় সিংহের নেতৃত্বে গিয়ে হামলা করে। খাতা কেড়ে নিতে চায় ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। 


এর প্রতিবাদে এবং পদক্ষেপের দাবিতে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন অধ্যাপকরা। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বা সহ উপাচার্য ছিলেন না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, স্নেহমঞ্জু বসুর কথায়, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ভাল করে তদন্ত করব। আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে


যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা! তৃণমূলের (TMC) শিক্ষাবন্ধু সমিতির নেতা বিনয় সিংহ আবার অন্য কথা বলছেন, তাঁর কথায় সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানানো কথা। এই অভিযোগের সঙ্গে সত্যতার কোনও মিল নেই। পাশাপাশি তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্য ও শিক্ষক হেনস্থায় অভিযুক্ত  উদয়ভান সিংহর কথায়, বিনয় দা যা বলছে,ওটাই শেষ কথা। 


শেষমেষ, অধ্যাপকদের চাপে পড়ে  মূল অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মী উদয়ভান সিংহ ও সংগঠনের নেতা বিনয় সিংহকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 
কয়েকজন নেতাদের নিয়ে বিনয় গেছিল। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করে দু’পক্ষই!