পার্থপ্রতিম ঘোষ, সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : হরিদেবপুরে ২১ বছরের অয়ন মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বান্ধবী ও তাঁর মা-বাবা-ভাই-সহ গ্রেফতার ৬। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বান্ধবীর আত্মীয় ও এক গাড়িচালক।



দেহ লোপাটের চেষ্টা
সূত্রের খবর, পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল মৃতের বান্ধবীর পরিবার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মিনিডোর। অভিযোগ, দশমীর রাতে বচসার সময় অয়নকে আঘাত করে বান্ধবীর ভাই। তার জেরেই মৃত্যু হয় ওই তরুণের।

এরপর মিনিডোর ভাড়া করে ত্রিপলে মুড়িয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মগরাহাটে। অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে হরিদেবপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় অয়নের মৃতদেহ। পুলিশের আশ্বাসে দেহ নিয়ে ণোেবিক্ষোভের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন মৃতের আত্মীয়রা। মাঝরাতে কেওড়াতলা শ্মশানে অয়নের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন হন হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, মা ও মেয়ে, দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল ২১ বছরের তরুণের। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর মধ্যেই দশমীর রাতে বান্ধবীর ডাকে তাঁর বাড়িতে যান অয়ন। সেখানে প্রথমে ইট দিয়ে আঘাত করে, পরে বাঁশ-রড দিয়ে মারধর করা হয় ওই তরুণকে।


তার জেরে অয়নের মৃত্যু হলে মিনিডোর ভাড়া করে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় মগরাহাটের মাগুরপুকুরে। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি জানতেন গাড়ি চালক। তাঁকে প্রথমে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কাজ মিটলে বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মৃতের বান্ধবীর পরিবার। খবর সূত্রের। 


সকালে মৃতের বান্ধবীর ভাই ও গাড়িচালককে মাগুরপুকুরে নিয়ে এসে পুনর্নির্মাণ করায় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সমন্বয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় তরুণের দেহ উদ্ধারের পর, তা দ্রুত আশপাশের থানা ও কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়। এরপরও কীভাবে হরিদেবপুর থানা মৃতের পরিচয় সম্পর্কে অন্ধকারে রইল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।