কলকাতা: শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সভাই হোক, কিংবা চাকরি প্রার্থীদের প্রতিবাদের মিছিল, সরকারে যেই রাজনৈতিক দলই থাকুক না কেন, এছবি নতুন নয়। আর এবার গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল নিয়েও 'আপত্তি'-র পাঁচিল খাড়া করলেও আদতে ধোপে টিকল না। কার্যতই গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল (Group D Jobseekers Rally) নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্য সরকারের (West Bengal Government)। রাজ্যের তরফে দায়ের করা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল পূর্বনির্ধারিত রুটেই হবে, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।


মিছিল পূর্বনির্ধারিত রুটেই হবে : হাইকোর্ট


গত ২০ শে সেপ্টেম্বরের রায়ই বহাল রাখলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Joy Sengupta)। শান্তিপূর্ণ মিছিলের দায়িত্ব আয়োজক এবং পুলিশ দুপক্ষেরই,  জানাল আদালত (Court)। 'থিয়েটার রোড এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে শুরু হবে মিছিল। নিজাম প্যালেসের (Nizam Palace) সামনে দিয়ে রবীন্দ্রসদন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হবে মিছিল।আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় হবে মিছিল।


কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ নয়, আপত্তি কোথায় ? প্রশ্ন আদালতের


 রাজ্য সরকার যে স্কুলগুলি কথা উল্লেখ করেছে সেগুলি কোনওটিই ক্যামাক স্ট্রিটের ওপরে নয়', কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ নয়, মিছিল করে চলে যাবে, আপত্তি কোথায়, প্রশ্ন আদালতের। ট্রাফিক জ্যাম হবে, সওয়াল করে রাজ্য। 'রাজ্য এনিয়ে কথা বললে বিপদ বাড়বে', মামলাকারীরা ২১ জুলাইয়ের কথা বলবে, মন্তব্য বিচারপতির। স্কুলের কথা ভাবলে ২১ জুলাই শহর স্তব্ধ করে দিত না, সওয়াল মামলাকারির আইনজীবীর।


গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা


সম্প্রতি এসএসসি  গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জানতে চেয়ে নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রসন্নকুমার রায়কে। জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জেলবন্দি মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের। সেই জামিন মামলাতেই সিবিআই রিপোর্ট তলব করে ডিভিশন বেঞ্চ। 


আরও পড়ুন, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে


নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ


প্রসঙ্গত,  পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১২ সালের প্রাইমারি নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে আগেই। আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করায়, শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০১৬-র SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেউ পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে। আর কেউ টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর স্কুলে পড়াচ্ছেন। নম্বরে কারচুপির কথা স্বীকার করে ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।