কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে দুর্নীতি মামলার (Jogesh Chandra Chowdhury Law College Case)তদন্তে সিআইডির তদন্তকারীরা। অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা ও অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ইউজিসি-র নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকার অভিযোগে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। 


তবে মূল মামলা পাঠানো হয় সিঙ্গল বেঞ্চেই অধ্যাপক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যেরও। অধ্যক্ষ থাকাকালীন যোগ্যতা না থাকলেও অধ্যাপক নিয়োগের অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে নথি জালিয়াতি ও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার তদন্তে ফের যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সিআইডি। 


যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্যাপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে। এই মামলায়, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়।  ৯ অক্টোবরের মধ্যে এই দুষ্কৃতীদের হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পাশপাশি, এই কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। মামলার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন,'যেখানেই দুর্নীতি মাথাচারা দেবে আমি সেখানেই হস্তক্ষেপ করব। ' 


আরও পড়ুন, অসুস্থতার ভান, জল খেতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে খুন !


অপরদিকে, গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ মামলায়, অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। অধ্যক্ষার অফিস তালাবন্ধ করার নির্দেশও খারিজ করা হয়েছিল (Order Dismissed)।'অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে তাঁর অফিসে বাধাহীন ভাবে ঢুকতে দিতে হবে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। অধ্যক্ষকে অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে গভর্নিং বডি', নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।'ন্যায়বিচারের স্বার্থে সকলের বক্তব্য শোনা দরকার। শুধুমাত্র টেলিফোনিক বাক্যালাপের মাধ্যমে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ জারি না করলেই পারত সিঙ্গেল বেঞ্চ', মন্তব্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর।মূল মামলা ফেরত চলে যায় সিঙ্গেল বেঞ্চে। শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চেই। সেখানেই অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে হলফনামা জমার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।