কলকাতা: 'রাত ১০ টার পর মাইক চালানো যায় না। পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত কিনা জানা নেই। তাই পুলিশকে এই মর্মে পাবলিক নোটিশ জারি করতে হবে। কখন, কতক্ষণ মাইক বাজানো যাবে, তার উল্লেখ করতে হবে নোটিশে', পার্কসার্কাস এলাকার এক নাগরিকের মামলায় নির্দেশ দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of Calcutta High court)। 


'উৎসব আসলেই দিনরাত শব্দের তাণ্ডব চলে'


মামলাকারীর অভিযোগ, উৎসব আসলেই দিনরাত শব্দের তাণ্ডব চলে। তাঁর বাড়ির সামনে।ফুটপাথ জুড়ে চলে রান্নাবান্না খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ বা শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা এরা ধর্তব্যের মধ্যে আনে না। পার্ক স্ট্রিট থানাকে মামলাকারী মহিলা সগুপ্তা সুলেমান বারংবার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা পাননি বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে জানান। বেঞ্চ জানায়, 'মাইক ব্যবহার হলে তাতে সাউন্ড লিমিটার থাকতে হবে।' রাজ্যের তরফে বলা হয়, 'একদিন পরেই মহরম। এত দ্রুত এমন নির্দেশ কার্যকর করা কঠিন। কিন্তু আদালত বিষয়টি সদর্থকভাবে বিবেচনা করতে বলেছে।'


আরও পড়ুন, OMR Sheet-এ কারচুপির তালিকায় ৯০৭ শিক্ষক ! আদালতের নির্দেশে প্রকাশ্য়ে আনল SSC


পরিবেশবিদরাও মনে করান বারাবার


প্রসঙ্গত, বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই অনুষ্ঠানে জোরে মাইক বাজানোর বিষয়টা বঙ্গে আজকের অভ্যাষ নয়। বিয়ে হোক কিংবা পুজো, এমনকি পাড়ার রক্ত শিবিরও কম যায় কীসে। সর্বত্রই জোরে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠে আসে। এদিকে দশটা দূষণের মতো শব্দ দূষণও যে ক্ষতিসাধন করে, তা অনেকক্ষেত্রেই মানুষের নজর এড়ায়। প্রশাসন তো বটেই, এমনকি পরিবেশবিদরাও মনে করান বারাবার।


শীতকালে সবথেকে বেশি শব্দ ছড়িয়ে পড়ে


তবে সারাবছরের মধ্যে শীতকালে সবথেকে বেশি শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। এদিতে সারাবছরই কম বেশি পরীক্ষা হতে থাকে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে মাইক বাজলে, প্রতিফলিত হয়ে, দ্রুত তা বিল্ডিংয়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু পাশাপাশি ঘর, তাই শব্দদূষণে শরীরে প্রভাবও পড়ে। অনেকেই অতিরিক্ত আওয়াজে শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলে। 


পার্বণের বাইরেও মাইক


এবার আলোকপাত করা যাক একটি ঘটনায়। যেগুলি পুজো পার্বণের নয়। বাইশ সালে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে 'মাইক বাজিয়ে' সভা করেছিলেন এক বিজেপি বিধায়ক। এদিকে এক অভিযোগের গেরোয় পাল্টা অভিযোগ। হাসপাতাল চত্বরে কী করে বাজানো হল মাইক, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেয়র।