কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জানতে চেয়ে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকুমার রায়কে। জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জেলবন্দি মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের। সেই জামিন মামলাতেই সিবিআই রিপোর্ট তলব ডিভিশন বেঞ্চের।
পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১২ সালের প্রাইমারি নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে আগেই। আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করায়, শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্য়দিকে, ২০১৬-র SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
কেউ পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে। আর কেউ টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর স্কুলে পড়াচ্ছেন। নম্বরে কারচুপির কথা স্বীকার করে ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু তালিকা কি এখানেই শেষ? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব যাদের হাতে থাকার কথা ছিল, ৮৬৫ দিন ধরে তারাই রাস্তার ধারে বসে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। আর, অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্র নিয়ে বছরের পর বছর চাকরি করে চলেছেন!
মালদার হবিবপুরের ঋষিপুর এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত পাণ্ডে। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মেধাতালিকায় নাম না থাকলেও নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। মালদার উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা গেল, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন দেবব্রত।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগপত্র ও রেকমেন্ডেশন দুইই ছিল। বুধবার পর্যন্ত তিনি ক্লাসও করিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে চাকরি পেলেন দেবব্রত? হবিবপুরের ঋষিপুরের বাড়িতে গেলে সেখানেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। তবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর মা।