প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে কয়লা-গরুপাচারের তদন্ত চালানো সিবিআই-এর (CBI) অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের প্রধান (Head Of Anti Corruption Branch Transferred) তথা জয়েন্ট ডিরেক্টরে এস বেণুগোপালকে বদলি করা হল। পাঠানো সিবিআই-এর হায়দরাবাদ শাখায়। তাঁর জায়গায় এলেন মহারাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার রাজেশ প্রধান (Rajesh Pradhan)।
কী জানা গেল?
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৩-এর ব্যাচের অফিসার রাজেশ প্রধানকে অবিলম্বে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্র্যাঞ্চের যে অফিস রয়েছে, সেখান থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি যে সন্তোষজনক নয়, তা নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছে আদালত। কয়েকদিন আগে পুরসভার দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন তখনও বিচারপতি ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, তদন্তের কোনও রকম অগ্রগতি নেই। তার পরই দিল্লি থেকে একটি রিপোর্ট আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার পরই এই সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে দু'একদিনের মধ্য়েই চার্জ বুঝে নিতে পারেন রাজেশ প্রধান। তার পর কি তদন্তে কোনও গতি আসবে? বলবে সময়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও সপ্তাহখানেক আগেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া প্রশ্নের মুখে পড়েছিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
কী বার্তা বিচারপতি সিনহার?
'নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে ? দুর্নীতির পিছনে কার মাথা ?' প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র আইনজীবীকে এই কড়া ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টেরবিচারপতির অমৃতা সিনহা। তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরও জানতে চান। তিনি বলেন এই দুর্নীতির তদন্তে আপনারা যখন একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছবেন, 'তখন এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ থাকবে তো ? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে?' এরপর তিনি বলেন, 'আকাঙ্খিত গতিতে আপনাদের তদন্ত চলছে না।' সেই সঙ্গে CBI-কেও বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, টাকা দিয়ে কারা চাকরি কিনেছেন, তা খুঁজে বের করুক CBI। 'টাকা দিয়ে চাকরি পেয়ে কারা কারা বর্তমানে কাজ করছেন? তাও CBI-কে খুঁজে বের করতে হবে', বলেন বিচারপতি সিনহা। এর পাশাপাশি, তদন্তের কী অগ্রগতি, তা ED এবং CBI-এর কাছে জানতে চান বিচারপতি সিনহা। ED এদিন আদালতে জানায়, কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।