তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: কর্মবিরতির জেরে (Strike) আবর্জনার স্তূপ হাসপাতালে (Heap Of Garbage)। বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের (Bishnupur Super Specialty) ঘটনা। সেখানে বেসরকারি সংস্থার অধীনে থাকা অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরেই এখন আবর্জনা-পুরী হাসপাতাল। 


কী ছবি?
হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আবর্জনা আর নোংরা জল ভেসে বেড়াচ্ছে। আর তার উপর দিয়েই রোগীরা যাতায়াত করছেন। রোগী ও রোগী-আত্মীয়দের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার জেরেই এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন সাফাই, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। গ্লোবাল নামক ওই বেসরকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা। তবে এই সমস্যা মিটে যাবে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস কর্তৃপক্ষের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালকে নিয়ে কেন এই ছেলাখেলা? এর আগেও কয়েকবার বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল কর্মীদের চাপে পড়ে ওই সংস্থা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিল। ফের আবার কেন এই সমস্যা? অভিযোগ, অকারণে কর্মীদের বেতন থেকে মোটা টাকা কেটে নিচ্ছে ওই সংস্থা আর তা আদায় করতে বার বার হাসপাতালে কর্মবিরতি করছেন কর্মীরা, এমনই ছবি বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। কেন হাসপাতালে এই সমস্যা তৈরি হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।


আশা কর্মীদের স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার...
ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে আশা কর্মীদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম চলেছিল। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আশা কর্মীদের। বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। দিতে হবে সরকারি স্বীকৃতি। আর এই দাবিতে সরব আশা কর্মীরা। এদিন স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নামেন তাঁরা। তাতেই পুলিশের সঙ্গে একেবারে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বচসা শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক আশাকর্মী। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। এক আন্দোলনকারী বলেছিলেন, “আমরা সরকারি স্বীকৃতি চাই।  স্থায়ীকরণ করতে হবে। মাধ্যমিকের ডিউটি থেকে সার্ভে, বিনা পারিশ্রমিকে একের পর এক কাজ করাচ্ছে। আমাদের দাবি বিনা পারিশ্রমিকে কোনও কাজ করানো যাবে না। স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা দিতে হবে। নির্দিষ্ট কাজ এবং কাজের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে।’’এদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান ১২ দিনে পড়ল। কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছেন ৩৫ শতাংশ। 


আরও পড়ুন:রাহুল গাঁধীর বাড়িতে দিল্লি পুলিশ