মনোজ ভার্মা, নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর (rahul gandhi) বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিশ (delhi police)। রাহুলের বাড়িতে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা। রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকদিন আগে সমন পাঠায় দিল্লি পুলিশ। রাহুলের কাছে পাঁচটি প্রশ্নের জবাব চায় পুলিশ। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমন পাঠানো হয়। কাশ্মীরে নিগ্রহের শিকার মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করেন রাহুল।
কী হয়েছে?
দিল্লি পুলিশের দাবি, রাহুল গাঁধী 'ভারত জোড়ো' যাত্রা চলাকালীন বলেছিলেন, 'আমার সঙ্গে কিছু মহিলার আলাপ হয়েছিল যাঁরা জানিয়েছিলেন তাঁদের ধর্ষণ হয়েছে।' পুলিশের দাবি, ওই ঘটনায় এর মধ্যেই রাহুলকে সমন পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, যে মহিলাদের সম্পর্কে ওয়েনাড়ের সাংসদ মন্তব্য করছেন তাঁদের তিনি জানতেন কিনা সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ এই নিয়ে তথ্য় পাওয়া গেলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে পর্যাপ্ত তদন্ত করবে ও ওই মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ কোনও উত্তর দেননি। এবার তাই রাহুলের বাড়িতেই পৌঁছে গেলেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা।
শেষ দিনে 'ভারত জোড়ো' যাত্রা...
দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন রুখতে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেন রাহুল গাঁধী। বিজেপি বিরোধী একাধিক দল রাহুল গান্ধীর পদযাত্রায় পা মেলালেও তৃণমূলকে সেখানে দেখা যায়নি। তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) শত্রুঘ্ন সিন্হা রাহুল গান্ধী এবং ভারত জোড়ো যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করলেও, সৌগত রায় স্পষ্টই বুঝিয়ে দেন, এক্ষেত্রে দলের অবস্থান ভিন্ন। রাহুল গাঁধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র অংশ হিসেবে বাংলায় কংগ্রেসের পদযাত্রা গত ২৩ জানুয়ারি শেষ হয়েছিল কার্শিয়াঙে। সেখানেই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন অধীর চৌধুরী। পাল্টা, জবাব দেয় তৃণমূল এবং বিজেপিও। রাহুলের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র অংশ হিসাবে, এ-রাজ্যেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব যে পদযাত্রা শুরু করেছিল, তা সোমবার শেষ হল কার্শিয়াঙে। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ দিন ধরে, দীর্ঘ এই ৮০০ কিলোমিটার পথ হাঁটে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা মনে, মানুষ সমর্থন করছেন। মানুষ এগিয়ে আসছেন।’’ সমাপ্তি অনুষ্ঠান অবশ্য় ছিল, একেবারেই সাদামাটা। পাহাড় ভেঙে পদযাত্রীরা পৌঁছনোর আগেই শেষ হয় সমাপ্তি অনুষ্ঠান। পাহাড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন অধীর চৌধুরী। বলেন, 'পাহাড়ের মানুষকে কখনও গোর্খাল্যান্ড বলে, প্রলোভন দেখিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি, তারা পাহাড়ের মানুষের কোনও উপকার করেনি।'
আরও পড়ুন:ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে প্রভাব ফেলবেন বরুণদেব?