সৌভিক মজুমদার ও রুমা পাল, কলকাতা: পিছোল DA নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননা মামলার শুনানি। নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। ডিএ নিয়ে আদালত অবমাননার মামলায় মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্যের তরফে দায়ের করা মামলায় ১০টি ত্রুটি রয়েছে। আদালতে বলল কর্মচারী সংগঠন। যে ত্রুটি আছে, তা মুহূর্তে সংশোধন করা যায়, বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় যে ত্রুটি আছে, তা মুহূর্তে সংশোধন করা যায়। সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মামলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষাপটে, হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন। বুধবার, বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে কর্মচারী সংগঠনের তরফে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে দায়ের করা মামলায় ১০টি ত্রুটি রয়েছে। কোর্ট ফি’র ২ হাজার ৩৩০টাকা জমা করেনি রাজ্য। ত্রুটির বিষয়টি রাজ্যের তরফে স্বীকার করে নেন অ্যাডভোকেট জেনারেলও।
এরপরই বিচারপতি হরিশ টন্ডন বলেন, যা ত্রুটি রয়েছে, তা মুহূর্তে সংশোধন করা যায়। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ।ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ।
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী যে ৩৪ শতাংশ DA-র ফারাক ছিল, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায়, গত ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, বকেয়া DA নিয়ে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মানেনি, এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার, বিচারপতি হরিশ টন্ডন বলেন, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দায়ের করা মামলা এখনও স্থায়ী নম্বর পায়নি। ফলে আইন অনুযায়ী মামলা শুনতে কোনও বাধা নেই। আদালত অবমাননার মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ নভেম্বর।
পিছোল ডিএ-শুনানি