কলকাতা: আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে কামড় পুলিশের (Kolkata Police)। ট্যুইটে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।
এক্সাইড মোড়ে চাকরিপ্রার্থীদের (TET Job Seeker) বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে ধাওয়া করে কামড় মহিলা পুলিশকর্মীর! এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় স্পষ্ট ছবি ধরা পড়লেও, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, কামড়ানো হয়নি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাউথ ডিভিশনে কর্মরত ওই পুলিশকর্মী। এ দিন দুপুরের পরে পৌনে তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদন মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তখন তাঁদের ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা। এলগিন রোডের দিকে ছুটে গিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। একাধিক জায়গায় বলপ্রয়োগ করতে দেখা যায় পুলিশকে। চ্যাংদোলা করে তোলা হয় ভ্যানে। যাঁরা ভ্যানের নীচে ঢুকে গিয়েছিলেন, তাঁদের টেনেহিঁচড়ে বের করা হয়। এরপরেই আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে এসে জমায়েত করেন।
কী দেখা গিয়েছে? ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে দেখা যায় ওই পুলিশকর্মী ছুটে যাচ্ছেন, দিয়ে সোজা এক মহিলার হাতে কামড় বসিয়ে দিতে দেখা যায়। তারপর তিনি সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ। অভিযোগ অস্বীকার: অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দিনভর ধুন্ধুমার: এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। ঝরল রক্ত। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। পুলিশের তাড়া খেয়ে বহু চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড়ে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে শুরু হয় অবস্থান। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে।