আশাবুল হোসেন, কলকাতা: বিধানসভায় শেষ হল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বিধানসভা সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে পারেন অধ্যক্ষ।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ কি খারিজ হবে?না কি তিনি, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক থেকে যাবেন?বিধানসভা সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করতে পারেন অধ্যক্ষ। বুধবার, বিধানসভায় শেষ হয়েছে এই মামলার শুনানি।
কয়েকমাস ধরেই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি।
এই নিয়ে, বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ফের শুনানি চলে। সেখানে মুকুল রায়ের আইনজীবীরা দাবি করেন, মুকুল রায় এখনও বিজেপিতে রয়েছেন। সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দাখিল করা হয়েছে। তাঁদের এ’নিয়ে আর কিছু বলার নেই। পাল্টা, সওয়াল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা।
বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে, শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা ফের জবাব দিতে চান। মৌখিকভাবে জবাব দেওয়ার জন্য, তাঁদের সময় দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষকে তাঁর মতামত জানাতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। এ’নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। সেই মামলায় সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।এই প্রেক্ষাপটে বুধবার, বিধানসভায় শেষ হল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আশা করছেন, অধ্যক্ষ নিষ্পত্তি করবেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির জন্য আপেক্ষা করছি এবং সুপিমকোর্টে সংবিধানের সম্মান রক্ষিত হবে বলে আশাবাদী, এখানকার প্রক্রিয়া নিয়ে আমার খুব একটা আশা নেই।
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ী যেটা অর্ডার হবে, সেটা পাস করব। শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের কথা বলার কোনও অর্থ হয় না। কোনও ব্যবস্থার উপরই উনি সন্তুষ্ট নয়, না বিচার ব্যবস্থার উপর, না বিধানসভার অধ্যক্ষের উপর। অধ্যক্ষ হিসেবে একজন বিচারক হিসেবে কাজ করছি। আমি নিরপেক্ষতা মেনে, আইন মেনে যা করার তাই করব।
এখন অধ্যক্ষ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলায় কী সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর সবার।