রুমা পাল, আশাবুল হোসেন ও শিবাশিস মৌলিক: হাঁসখালিকাণ্ডের (Hanskhali Case) আর্থিক সাহায্য় প্রসঙ্গে, লিগাল এড সার্ভিস অথরিটির (legal aid service authority) ভূমিকায়, বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (highcourt) প্রধান বিচারপতি। কিছু অস্পষ্ট কথা বলে, বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও মন্তব্য় করেন তিনি। এই মামলায় কী করা হয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্য়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের হাঁসখালি-অসন্তোষ
মাস আটেক আগে, রাজ্য় রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল হাঁসখালির গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ! সেই মামলায়, মৃতার পরিবার এখনও আর্থিক সাহায্য় পায়নি। আর্থিক সাহায্য় দেওয়া তো দূরে থাক, উল্টে শুনানির দিন পিছনোর আবেদন জানিয়েছে লিগাল এড সার্ভিস অথরিটি। এই প্রেক্ষাপটে তাদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার লিগাল এডের আইনজীবীর উদ্দেশে, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 'কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে ব্যাপারটা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছে! এত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা নির্দেশ না নিয়ে আসেন? দায়সারা ভাবে কাজ হয় না। যেখানে নির্দিষ্ট স্কিম আছে, সেখানে আবার আলাদা নির্দেশের কী দরকার আছে?'
রাজ্য় সরকারের তরফে অ্য়াডভোকেট জেনারেল অবশ্য আদালতে জানান, রাজ্য় সরকার লিগাল এড সার্ভিস অথরিটিকে টাকা দিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কী করা হয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্য়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিজাম প্যালেসে SSC-এর ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে তলব, মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
৪ এপ্রিল মাদক খাইয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হাঁসখালিতে। পরের দিন ওই কিশোরীর মৃত্য়ু হয়। ৯ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১০ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত ভার হাতে নেয় সিবিআই। ৮৫ দিনের মাথায় তারা চার্জশিট দেয়।