কলকাতা: স্বপ্নের জয়। লিওনেল মেসির (Lionel Messi)-র সোনালি ট্রফি ছুঁয়ে দেখার মুহূর্ত দেখে চোখ ভিজেছিল বাঙালিরও। তবে শুধুই কি জয়, আনন্দ আর স্বপ্নপূরণ? খেলার মাঠ তো শিখিয়ে যায় কত গল্প। যেমন জীবনের শিক্ষা দিয়ে গেল অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরীকে! (Tota Roychowdhury)


সোশ্যাল মিডিয়ায় টোটা লিখেছেন, 'গতরাতে টিভিতে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স এর বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা প্রত্যক্ষ করে তিনটি উপলদ্ধি :


ক) অনেক সময় জীবন হার দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল, নিরন্তর পরিশ্রম ও সৈনিকের অনুশাসন থাকলে বিজয়ী হয়েও শেষ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পরাজয় দিয়ে শুরু করেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে সমাপ্তি।



খ) বিস্ময়কর প্রতিভা, নিরলস প্রয়াস ও উজ্জ্বলতম কীর্তিস্থাপনও জীবনের অনেক ক্ষেত্রে শেষ হাসিটা হাসার জন্য পর্যাপ্ত নয় যদি না ভাগ্য সহায় থাকে। যেমন কিলিয়ান এমবাপের হ্যাটট্রিক (এবং গোল্ডেন বুট প্রাপ্তি) সত্ত্বেও ফাইনালে হার।



 

গ) ঈশ্বর যদি ফুটবল খেলতেন তাহলে তিনি লিওনেল মেসির মতই খেলতেন।' (অপরিবর্তিত)

 


 

স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখা। গোল্ডেন বল হাতে নিয়ে বিশ্বকাপকে যখন প্রথমবার চুম্বন করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi), তখন এই ভারতের মাটিতে বসে, বাংলায়, টিভির পর্দার দিকে তাকিয়ে চোখ চিকচিক করে উঠেছিল অনেকেরই। শুধু আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ের জন্য নয়, লিওনেস মেসির জন্য। যে মানুষটার সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন জড়িয়ে আছে, তার হাতে বিশ্বকাপ দেখে আবেগ সামলাতে পারেননি অনেকেই।

 


 

সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন টলিউড তারকারাও। ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম.. নীল সাদা রঙ ছড়িয়েছে সবার ওয়ালে। টলিউডও যেন রাঙা হল সেই রঙে.. স্বার্থ ভুলে, দেশ বিদেশের বেড়া টপকে, কেবল মাত্র প্রতিভাকে ভালবেসে, খেলাকে সম্মান জানিয়ে এমন আন্তরিকভাবে খুশি হতে বোধহয় শুধু ভারতই পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শেয়ার করে নিয়েছিলেন আর্জেন্তিনার জয়ের উচ্ছ্বাস। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অনুভূতির কথা তাঁর দরাজ লেখনী দিয়ে ভাগ করে নিলেন টোটা।