কলকাতা: পরিবহণ দফতরের (State Transport Department) ইন্সপেক্টর পদের নিয়োগেও ভুল-প্রশ্ন! কতগুলি শূন্যপদ? ৫ জুনের মধ্যে রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরিবহণ দফতরের নন টেকনিক্যাল ইন্সপেক্টর পদের নিয়োগে ২০১৯-এ পরীক্ষা হয়েছিল। ৫টি প্রশ্নে ভুল থাকার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন পরীক্ষার্থীরা (Interviewee)। এরপরেই বিশেষ কমিটি গঠন করে প্রশ্ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৫টির মধ্যে ৩টি প্রশ্ন ভুল, জানিয়ে দেয় কমিটি। ৩টি প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর পেলে চাকরি পাওয়ার দাবি করেছেন মামলাকারী। এদিকে এদিনই ভুয়ো নথি দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন এক চাকরিপ্রার্থী । 


ভুয়ো নথি দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতারি...
ধৃতের নাম বাপ্পা দেবনাথ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরাল ডাঙার বাসিন্দা তিনি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তরের (West Bengal Board Of Primary Education) অধিকারিকরা তাঁকে ধরে ফেলেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে বাপ্পা দেবনাথকে থানায় নিয়ে যায়।২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ চলাকালীনই ঘটনা ঘটেছে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা, বাপ্পা দেবনাথ, দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টারভিউ দিতে আসেন। কিন্তু দেখা যায়, তিনি  ২০১৬ সালের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্ট্রি এডুকেশনের এর যে শংসাপত্রটি পেশ করছেন, সেটি ভুয়ো। অ্যাডমিট সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সবটাই মিথ্যা। পার্থর কথায়, 'আমরা তাঁকে ধরেছি। যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি।' তাঁর মতে, নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই বলেছিলেন, শংসাপত্র দেখে ধন্দ হচ্ছে। এর পর পিটিটিআউ সেলের ইনচার্জদের ডেকে পাঠান ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি। তখনই জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়, দাবি তাঁর। দেখা যায়, বাপ্পা দেবনাথের নামে ২০১৬ সালে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে, সেই নামে ও সেই নাম্বারে আদতে কোনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য, সেকশন অথরিটি বলে দেয় এই রেজিস্ট্রেশন ভুয়ো। যদিও বাপ্পা দাবি করেন, তিনি ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। সে তার ডি এড পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ বাড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। সন্ধের দিকে তেমনই হয়। এর পর পুলিশ অনুসন্ধান করে দেখবে, নকল শংসাপত্র কোথা থেকে কী ভাবে এল?