গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : আবহাওয়ার দাপটে পরপর সমুদ্রবক্ষে দুর্ঘটনা। একের পর এক ট্রলারডুবি। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর বেশ কয়েকদিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। তারই মধ্যে রুজিরুটির টানে মাছ ধরতে বেরিয়েই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা।  আবারও উত্তাল সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা । উঁচু ঢেউয়ের সপাটে ধাক্কা লাগে একটি ট্রলারে। আর তারপরই  সমুদ্রে পড়ে যান ৪ মৎস্যজীবী। 


গত ২৭ জুলাই ভোরে ঘটনাটি ঘটে কেঁদোদ্বীপের কাছে। নিখোঁজ মৎস্যজীবী গোপাল মন্ডল সুন্দরবন উপকূল থানার ঝড়খালির বাসিন্দা। গত ২৬ তারিখ সকালে কুলতলির সানকিজাহানঘাট থেকে রওনা দিয়েছিল মা অষ্ঠমী ট্রলার। ট্রলারে ১৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। রাতভর কেঁদোদ্বীপের কাছে ইলিশ ধরছিলেন ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। ভোরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে ট্রলার কাত হয়ে যায়। ৪ মৎস্যজীবী সাগরের জলে ছিটকে পড়েন। ৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ এক মৎস্যজীবী। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে  উপকূল রক্ষী বাহিনী ও প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। খবর পাওয়ার পর গভীর সমুদ্রে তল্লাশি শুরু করেছে উপকূল রক্ষ্মী বাহিনী।


নিম্নচাপের জেরে রবিবার রাত থেকেই দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত। সমুদ্র বেশ কয়েকদিন ধরেই থেকেই  উত্তাল। তাই  মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে বেরনোর ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। টানা কয়েকদিন এই দুর্যোগ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরই মাঝে মাছ ধরতে বেরিয়ে এই দুর্ঘটনা। 


দিনকয়েক আগেই সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় ৩টি ট্রলার। ২ মৎস্যজীবী গুরুতর আহত হন ।উদ্ধার করা হয় ৩টি ট্রলারের বাকি ২৯ জন মৎস্যজীবীকে। আবহাওয়া নিয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইলিশ ধরার মরশুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই  কাকদ্বীপ ও সাগর থেকে মাছ ধরতে রওনা দেয় ৩টি ট্রলার। জম্বুদ্বীপের কাছে FB মল্লেশ্বর এবং সাগরের বেগুয়াখালিতে আরও দুটি ট্রলার তলিয়ে যায়। 


নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে বারবার মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


আবহাওয়ার পূর্বাভাস 


সোমবার জেলায় - জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছেন । বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। মঙ্গলবারেও বৃষ্টি চলবে।  ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি  উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম জেলাতে। 


আরও পড়ুন :


চুপিসাড়েই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে, ধাক্কা দিতে পারে মারণ-ব্যাধি হয়ে, কীভাবে চিনবেন, কীভাবে রুখবেন হেপাটাইটিস B?