অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক, মনে করা হয় এমনটাই। আগামী দিনের পড়াশোনার একটি গতি এই পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষা আদৌ দিতেই পারবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চিত মালদার এক ছাত্রী। 'ফর্ম পূরণ করেও' উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট না পেয়ে অথৈ জলে এক পরীক্ষার্থী। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ ব্লক দফতরে। এমনকী, প্রধান শিক্ষককে অপরাধী বলেও তোপ দাগলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। 


ঠিক কী ঘটেছে? 


আর মাত্র ছ'দিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক স্কুল থেকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুরের ঘটনা। অভিযোগ, ওই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এসেছে। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাও দিয়ে ছিলেন তিনি।পরবর্তীতে নির্দিষ্ট তারিখে ফর্ম ফিল আপও করে ছিলেন অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে। কিন্তু সকলে অ্যাডমিট পেলেও ওই পরীক্ষার্থী পাননি। 


এও অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে জানান হলে তিনি দাবি করছেন ওই পরীক্ষার্থী না কি ফর্ম ফিলাপ করেননি।  যদিও পরিবারের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির জন্য এমনটা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে অপরাধী বলে তোপ দাগলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। টেস্ট পরীক্ষাও দিয়ে ছিলেন তিনি। ফলাফল ভালো হয়েছিল। পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য অন্যান্য বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ফর্ম ভরতি করেন লিপি। কিন্তু কিছু দিন আগে যখন অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়, তখন দেখা যায় প্রত্যেকে পেলেও তিনি অ্যাডমিট পায়নি। 


প্রধান শিক্ষকের দাবি লিপি ফর্ম ফিল আপ করেনি, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই চরম হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই পরীক্ষার্থী। তার অভিযোগ মানসিক অবসাদে তিনি যদি আত্মহত্যা করেন তার দায় থাকবে প্রধান শিক্ষকের।


পড়ুয়ার পরিবার  অত্যন্ত কষ্ট করে লেখাপড়া করান মেয়েকে। জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে মেয়ের এই সমস্যায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পরিবারও। সমস্যা সমাধানের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। আবেদন করেছেন জেলা শাসককেও। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধী বলে তোপ দেগেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহা। প্রশাসনকে আবেদন করেছেন যাতে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে।