কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কড়া নিরাপত্তা-নজরদারির পাশাপাশি, প্রযুক্তির হাত ধরেও আটকানো গেল না, পরীক্ষা ( Higher Secondary ) চলাকালীন মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা। উচ্চমাধ্যমিকে বাতিল হল ৪১ জনের পরীক্ষা। সংসদের নজরে স্কুলের শিক্ষা কর্মীদের একাংশের ভূমিকা। ঘটনার পিছনে একটি চক্র চলছে বলে আশঙ্কা। 


বৃহস্পতিবার শেষ হল এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সংসদ সূত্রে খবর, পরীক্ষা চলাকালীন ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে তাঁদের সবার পরীক্ষা। কিন্তু কড়া নজরদারির মধ্যেও কী করে তারা ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকল? সংসদ সূত্রে খবর, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকটি জেলার বেশ কিছু শিক্ষাকর্মী আতসকাচের তলায়। অভিযোগ, আটকানোর জায়গায় মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে সাহায্য করেছে তাঁদের একটি চক্র। মালদা, উত্তর দিনাজপুর সহ কয়েকটি জেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্মীকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে শোকজ করা হয়েছে বলে সংসদ সূত্রে খবর।


উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে জানান, প্রতিটি এন্ট্রি গেটে CCTV ক্যামেরা ছিল। তা সত্ত্বেও দেখা গেছে, বেশ কিছু পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে হলে ঢুকে পড়েছেন। তারা সেটা পরীক্ষা চলাকালীন ব্যবহার করার চেষ্টাও করেন। ইনভিজিলেটরদের কাছে আগে থেকেই নির্দেশ ছিল। তাই তাঁরা সেইসব ছাত্রছাত্রীদের ধরে ফেলে। 

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, পরীক্ষার আগে ও মধ্যেও বেশ কিছু অসাধুচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্ত করতে, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশে। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। 

এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে ৭ লক্ষ ৯০ হজার ২২১ জন। ২৩টি জেলাতেই এবার ছাত্রদের তুলনায় বেশি ছিল ছাত্রীর সংখ্যা। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগেই উদ্ধার হয়েছে শতাধিক মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকায় যে ৪১ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যেও ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। জেলার পাশাপাশি, কলকাতার নামী স্কুলেও মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়েছে পরীক্ষার্থী। এদিকে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলালাকীন টেলিগ্রাম গ্রুপে ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। নদিয়া থেকে মূল অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, আগামী বছরের পরীক্ষা শুরু হবে ৩ মার্চ। চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।  


কিন্তু নিরাপত্তার এই বজ্র আঁটুনির মধ্যেও ফস্কা হল গেরো! উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে সামনে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য! সরষের মধ্যেই কি তাহলে ভূত? তেমনই আশঙ্কা উচ্চমাধমিক শিক্ষা সংসদের।