সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বর্যা পেরিয়েছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু  বাজারে গেলে রীতিমতো চমক লাগবে। মেঘদূতের সঙ্গে যে রুপোলি শস্যের আগমন বঙ্গের হেঁশেলে, সে কিনা হাজির প্রাক শীতে (Winter)। তাও আবার মহা সমারোহে। ঝকঝকে শরীরখানি। ওজনও বেশ রাজকীয়। এ বছরের বর্ষায় আসা রুপোলি শস্যকে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিতে পারে এর সাইজ। গড়িয়াহাট বাজার আলো করে ঝোরায় ঝোরায় ঝকমকিয়ে উঠছে ইলিশ। ছড়াচ্ছে সুঘ্রাণ। প্রায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন। দামও নাগালের বাইরে নয়। 


এবছর ভরা বর্ষাতেও তেমন জমাটি ছিল না ইলিশের (Hilsa) আমদানী। বাজারে এসেছিল বেশির ভাগই ছোট মাপের মাছ, যা খোকা ইলিশ বলেই পরিচিত। আর একটু মাঝারি মাপের ইলিশের দাম তো মধ্যবিত্তের কাছে ছিল ছ্যাঁকার মতো। কিন্তু গড়িয়েহাটের মৎস্য ব্যবসায়ী জানালেন, শীতের শুরুতে এমন ইলিশ সত্যিই বিরল। দামও খুব বেশি নয়। দেড় কিলো মতো ইলিশের দাম দেড় হাজারের কিছু বেশি। অথচ ভরা বর্ষায় এই বাজারেই মাঝারি মাপের মাছ বিক্রি হয়েছে ২-২.৫  হাজারে।  একটা-দুটো নয়, কার্যত একদল ইলিশ যেন তাকিয়ে আছে ক্রেতার দিকে। 


ভাজা হোক বা ভাপা...কালোজিরে কাঁচালঙ্কার ঝোল হোক, বা তেঁতুল দিয়ে টক....পাতে পড়লেই চেটেপুটে সাফ! ইলিশের ভালো ভালো রান্নার ভিস্যুয়াল। আর তা যদি হয় খাস পদ্মার, তাহলে মেজাজটাও যেন আসল রাজা! বাজারে গিয়ে ওপাড় বাংলার রুপোলি শস্য হাতের নাগালে পেলে, আর কি মিস করা যায়! 


মৎস্যবিক্রেতাদের (Fish Sellers) সার্টিফিকেট, এ ইলিশ খেতেও হবে বেশ। সেই তুলনায় দাম কমই ! ১৬০০-১৭০০ টাকায় মিলছে ইলিশ। পুরো পরিবারের জমিয়ে মধ্যাহ্ণভোজের পক্ষে যথেষ্ট। শীতের মুখে এই প্রাপ্তি বাঙালির কাছে কম কিছু নয়। তবে হ্যাঁ। মাসের শেষ পকেটে টান তো আছেই। তবে, গরম-গরম ভাতের সঙ্গে ঝকঝকে ইলিশের যুগলবন্দি পেতে বাজারে ভিড় করছেন অনেকেই।