আগরতলা : জামায় রক্তের দাগ। মাথায় ব্যান্ডেজ। ভয়ে গলা কাঁপছে এখনও। মধ্যবয়সী এই মানুষটির নাম মনোজ চক্রবর্তী। ইনি এবার ত্রিপুরার পুরভোটে (Tripura civic polls) তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট । এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধির কাছে প্রায় কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, একদল দুষ্কৃতী তাঁকে বাইকের চাবি দিয়ে আঘাত করতে করতে নিয়ে যায়। পুলিশ প্রায় নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় বলেই আহতের দাবি। দুই সেলাই পড়েছে মাথায়। সিটি স্ক্যান করারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। ভয়ে আর বুথে ফিরতে চাইছেন না মনোজ । 
আরেক এজেন্ট কৃষ্ণ মজুমদার। তাঁর অভিযোগও প্রায় একইরকম। 'না...না। আর বুথে বসব না। লাইফ রিস্ক হয়ে যাচ্ছে' বললেন তিনি। 
অন্যদিকে আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্যামল পালের দাবি তাঁর দোকান ও বাড়িতেওও হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


আজ ত্রিপুরায় পুরভোট। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলছে ভোটগ্রহণ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় এরকমই ছবি চোখে পড়ল। 


পুরভোটের আগেই প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। বাকি আসনগুলিতে কী হবে, তা জানতে, আজ সবার নজর থাকবে ত্রিপুরায়।    এরই মধ্যে পুরভোটের আগের রাতে বিরোধী প্রার্থীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের অভিযোগ, আমবাসায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী স্বপ্না পালের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি, আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্যামল পালের বাড়িতে বিজেপির বাইক বাহিনী হানা দেয় বলে অভিযোগ। সকালে মক পোলের সময় তৃণমূল প্রার্থীর দুই পোলিং এজেন্টকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


অন্যদিকে, বিলোনিয়ায় সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনটি ঘটনাতেই হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ত্রিপুরায় হিংসা আমদানি করছে তৃণমূলই। পাল্টা অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। সোশ্যাল মিডিয়াতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে , সকলকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। 









গোটা রাজ্যের ২০টি থানা এলাকায় মোট ৬৪৪টি ভোটকেন্দ্র। তার মধ্যে ৩৭০টি ভোট কেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর এবং ২৭৪টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অতি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলিতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের চারজন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। আগরতলার ভোটকেন্দ্রগুলিতে থাকবেন TSR-এর পাঁচজন করে জওয়ান। অন্যদিকে স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলিতে থাকবেন চারজন করে ত্রিপুরা পুলিশের সশস্ত্র জওয়ান।