কলকাতা: এবার কলকাতাতেও হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (Human metapneumovirus) আক্রান্তের হদিশ। কলকাতায় HMPV-তে আক্রান্ত ৬ মাসের এক শিশু।


তবে জানা গিয়েছে, বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন সুস্থ ওই শিশু। এই নিয়ে ভারতে মোট ৪ জন HMPV আক্রান্তের খোঁজ। সোমবারই জানা গিয়েছে যে, বেঙ্গালুরুতে HMPV আক্রান্ত ৩ ও ৮ মাসের দুই শিশু।


তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, চিকিৎসার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন ভাল রয়েছে। শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে গত বছরের নভেম্বর মাস নাগাদ মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছিল। কলকাতায় যাদবপুর এলাকাও ওই শিশুর বাড়ি। শিশুটির বাবা-মা কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন। বিমান থেকে নামার পরই সেই সময় শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির জ্বর ছিল। সঙ্গে বমি, পেট খারাপ ও পরবর্তী সময়ে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।


এই অবস্থায় শিশুটিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল শুরুতে। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শিশুটির কী হয়েছে সেটা বোঝার জন্য তার লালারসের পিসিআর চ্যানেল পরীক্ষা করা হয়। তাতেই দেখা যায় শিশুটি HMPV পজিটিভ।


এক সপ্তাহ শিশুটির চিকিৎসা করা হয়। আইসিইউ থেকে বেরনোর পর আরও প্রায় দিন দশেক তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সব মিলিয়ে তিন সপ্তাহ বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। তবে এখন সে সুস্থ হয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মুম্বই ফিরে গিয়েছে। শিশুটির বাবা-মা মুম্বইয়ে বিজ্ঞানী।


চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যেহেতু এই ভাইরাসের কোনও টিকা নেই, তাই প্রতিরোধই একমাত্র পন্থা। চিকিৎসকদের পরামর্শ , কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে বাড়ি এসে হাত স্যানিটাইজ করা আবশ্যক। মুখে হাত দেওয়ার অভ্যেস একদম ছাড়তে হবে। হাত না ধুয়ে নাকে বা মুখে হাত নয় ! সাবান হাতের কাছে না থাকলে অ্যালকোহল-বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। যদি পরিবারের কোনও সদস্যের এই উপসর্গগুলি দেখা যায়, তাহলে তাঁকে  কয়েকদিন বাড়ির বাকিদের সঙ্গে দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক। 


আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরে ফের কাছাকাছি স্নেহাশিস-মোম, ভাইঝির বাগদানে মধ্যমণি সৌরভই