মোহন দাস, হুগলি: বাড়ি ফিরলেন জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে জয়ী হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের ৫দিন পরে ফিরলেন বাংলায় (West Bengal)। এই রাজ্যে যদি কাজের ব্যবস্থা হয় ভাল হয়, প্রতিক্রিয়া দুই পরিবারের।
আলোর পাহাড় ঢাকা পড়েছিল আশঙ্কার অন্ধকারে! সব আশঙ্কাকে দূর করে এসেছে জয়। যন্ত্রের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে জয়ধ্বজা উড়িয়েছে মানুষের হাত।
রবিবাসরীয় সকালে নিজের বাড়িতে ফিরলেন হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। সৌভিক হরিণখালির বাসিন্দা। জয়দেবের বাড়ি নিমডাঙ্গিতে। উদ্ধার হওয়ার ৫ দিনের মাথায় বাড়ি ফিরলেন দুই বীর সৈনিক।
টোটো থেকে নামতেই উঠল উলুধ্বনি, বেজে উঠল শাঁখ। জয়দেবকে জড়িয়ে ধরলেন বাবা মা। অন্যদিকে, বরণডালা নিয়ে সৌভিককে বরণ করে নিলম মা। হাতে পরিয়ে দিলেন সোনার আংটি। ছেলে যে জয়ী হয়ে ফিরেছে। পুজো দেওয়া হল, পাড়ার শিবের মন্দিরে। আদর করলেন বড়রা। হল মিষ্টি বিতরণ। কী ঘটেছিল সেটা বলেছে। আনন্দ হচ্ছে।
লক্ষ্মী পাখিরা মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, আমি এখানে রাজ্য সরকারের কাছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে আবেদন রাখছি, আমার মেধাবী ছেলে, তাকে এই রাজ্যে একটা কাজ দিক। তাহলে তাকে আর বাইরে যেতে হবে না, আর এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।
একই ছবি জয়দেবের বাড়িতেও। দাদা জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরছে, তাই দেওয়ালে জয় শব্দটা লিখে রেখেছিলেন ভাই। দাদা এসে পাশে দেব লিখে দিলেন। শেষ হল প্রতীক্ষা। নতুন মাত্রা পেল, শব্দটা।
ছেলের ঘরে ফেরার আনন্দে রান্নাঘরের দখল নিয়েছেন বাবা। নিজের হাতে রান্না করছেন ছেলের পছন্দের খাবার। দীপাবলির দিন, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা-বারকোটে সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময় ধস নামে। আটকে পড়েন বাংলার ৩ জন সহ ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন পর গত মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় সবাইকে। সৌভিক-জয়দেবের সঙ্গে আটকে ছিলেন কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জের (Tufanganj) বলরামপুরের বাসিন্দা মানিক তালুকদার। শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি। রবিবার বাড়ি ফিরলেন হুগলির (Hooghly) দুই যুবক।