আরামবাগ: একধারে জনপ্রতিনিধি তিনি। আবার গৃহিণীও। সংসার সামলে সারাবছর এদিক ওদিক ছোটাছুটি লেগেই থাকে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়িত্বও রয়েছে। নিজের জন্য সে ভাবে সময়ই বের করতে পারেন না। কিন্তু পুজোর সময় সব কিছু ভুলে শুধুমাত্র মাতৃবন্দনায় মগ্ন থাকেন হুগলির আরামবাগের (Arambagh) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)। দশমীর সকালে সিঁদুরও খেললেন তিনি।
দশমীতে পাড়ার পুজোয় সিঁদুর খেললেন অপরূপা
এ বছর পুজোয় এক এক দিন, এক এক ভূমিকায় দেখা গিয়েছ অপরূপাকে। বুধবার, দশমীর সকালে আরামবাগ পৌরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ডে, নিজের পাড়ায় দেখা গেল অপরূপাকে। পাড়ার পুজো পারুল মিলন মঞ্চ ক্লাবে দেবীবরণ করলেন তিনি। পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে মাতলেন সিঁদুর খেলায়।
এর আগে মঙ্গলবার, নবমীর দিন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনে দেখা যায় অপরূপাকে। তাও আবার সম্পূর্ণ অন্য রূপে, খাবার পরিবেশন করতে। সারি দিয়ে বসে থাকা দর্শনার্থীদের মাঝে বালতি-হাতা নিয়ে নেমে পড়েন তিনি। আঁচল গুটিয়ে একের পর এক প্লেটে ঢেলে দেন ভোগ। ওইটুকু সময়ে সকলের সঙ্গে হাসিমুখে বার্তালাপও সারতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: SSC Protest: দশমীর মিষ্টি নিয়ে ধর্নামঞ্চে হাজির বিমান বসু, পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের
বাঙালির প্রাণের উৎসবে বুধবার সত্য়ই বিষাদের সুর। কাতর প্রার্থনা। বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে ফিরছেন উমা। বাড়ি এবং আবাসনের পুজোগুলির বিসর্জনও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষাদের ছায়া রাজীনীতিকদের মনেও। তবে কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়াক আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উৎসবের প্রতিটি মুহূর্তে উপস্থিত থাকছেন তাঁরা। রাজনীতিকরাও সেই দলেই শামিল হয়েছেন। পুজো শেষ হওয়ার আগে উৎসবের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন তাঁরা।
এর আগে, এ বছর পুজোয় গোড়া থেকেই নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অপরূপাকে। ষষ্ঠীর দিন আরামবাগের পুজোয় স্থানীয়দের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়, লোকাল ট্রেনে উঠে হরিপাল, নালিকুলে মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এমন উদ্যোগকে প্রচার কৌশল হিসেবে বিরোধীরা দাগিয়ে দিলেও, উৎসবের আবহে কোনও কথাই কানে তুলতে চাননি অপরূপা।