সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা: কারও স্বপ্ন ছিল ভূস্বর্গ দেখার, কারও ডেস্টিনেশন ছিল হিমাচল (Himachal)। পর্যটন সংস্থাকে (Tourism Company) মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ট্যুর প্যাকেজ বুক করেও ঘুরতে যাওয়া হল না। প্রায় কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হুগলির চন্দননগরের এক পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, টাকা আত্মসাৎ করে রাতারাতি পাততাড়ি গুটিয়েছে সংস্থাটি। ২ অভিযুক্তের খোঁজে চালাচ্ছে পুলিশ।
পুজো বা বছর শেষ মানেই মন পাগল। কাছে-দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য আকুলিবিকুলি। পায়ের তলায় সর্ষে। পর্যটন সংস্থাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ট্যুর প্যাকেজ বুকিংটাও সেরে ফেলেছিলেন আগেভাগেই। কিন্তু রওনা হওয়ার আগেই সব মাটি! প্রায় কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হুগলির চন্দননগরের এক পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, টাকা আত্মসাৎ করে রাতারাতি পাততাড়ি গুটিয়েছে সংস্থাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দননগরের শম্ভুর মোড়ে ছিল এই পর্যটন সংস্থার অফিস। অভিযোগ, কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ বেড়ানোর বিজ্ঞাপন দিয়ে জুলাই মাস থেকে প্রায় কোটি টাকা তোলে সংস্থাটি। আগে যেখানে সংস্থার অফিস ছিল, এখন সেখানে তার অস্তিত্বই নেই।
রবিবার, চন্দননগর থানায় (Chandannagar Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন বেশ কয়েকজন প্রতারিত। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু হুগলিই নয় প্রতারিতের তালিকায় রয়েছে কলকাতা-সহ ভিন জেলার মানুষও। সংস্থার মালিক, আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্ণালী সরকারকে খুঁজছে পুলিশ।
পুজোর মুখে পর্যটকদের (Tourists) প্রতারণা অভিযোগ উঠেছিল। একটি টুরিজম কোম্পানির (Tourism Company) ওয়েবসাইট ও অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হ্যাক করে চলছি অভিনব প্রতারণা-চক্র। বালিগঞ্জ, রাঁচি, মন্দারমণিতে অভিযোগ দায়ের।
ট্যুরিজম কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রতারণা: অনলাইনে পছন্দসই হোটেলের খোঁজ করছেন? খুব সাবধান ! পেমেন্ট করার আগে, ভাল করে যাচাই করে নিন। কারণ, ওঁত্ পেতে রয়েছে বিপদ ! হোটেল বুকিংয়ের নামে সক্রিয় অভিনব প্রতারণা চক্র। সম্প্রতি কলকাতা, রাঁচি, মন্দারমণিতে এমনই কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে।
কীভাবে প্রতারণা ? চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পর, এই সংস্থার হোটেল ব্যবসার নাম বদলে দেওয়া হয়। বর্তমানে, চকোলেট হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে তাদের টুরিজম-এর ব্যবসা। কলকাতা, রাঁচি, মন্দারমণি সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের হোটেল। সম্প্রতি, সংস্থার অনলাইন সাইটে দেওয়া নম্বর দেখে ফোন করেন পর্যটকরা। হোটেল বুক করে, পেমেন্টও করে দেন। কিন্তু কোনও কনফার্মেশন মেসেজ আসেনি। কয়েকজন তো সোজা হোটেলেও চলে যান। গিয়ে দেখেন, তাঁদের নামে ঘর বুকিং নেই। একাধিক পর্যটকের কাছে এই অভিযোগ পেয়ে, পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। বালিগঞ্জ থানা, লালবাজারের সাইবার সেল ও রাঁচিতে ৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কোম্পানির ওয়েবসাইট ও অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হ্যাক হয়েছে। কোম্পানির ফোন নম্বর বদলে, হ্যাকাররা নিজেদের নম্বর দিয়েছে। আর সেই নম্বরে যোগাযোগ করেই প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। পুজোর মুখে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে।