সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: অনিয়মিত বেতন ও বয়স্কদের জোর (Hooghly Chinsurah Municipality) করে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। ঘেরাও করে রাখা হয় প্রধান-সহ একাধিক কাউন্সিলরকে। আন্দোলনকারী এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে রাত ১টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাও মুক্ত হন পুর চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা।
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা হাজার দুয়েক। তাঁদের অভিযোগ, বেতন নিয়মিত হয় না। এ ছাড়া ৬৫ ঊর্ধ্ব শ্রমিকদের বিনা নোটিসে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। আন্দোলনকারীরা কাজ বন্ধের ডাক দেওয়ায় পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন কর্মী নিয়োগ করে কাজ চালাবে পুরসভা, জানিয়েছেন পুরপ্রধান। শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের এককালীন ৫ লাখ টাকা দিতে হবে তবেই অবসর নাহলে নয়।এছাড়া প্রতিদিন একশ টাকা করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
গত ১৭ জুন বোর্ড মিটিংয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও অবসর নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেই মিটিং কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয় শ্রমিক ইউনিয়নকে। অথচ এদিন বোর্ড মিটিং শুরু হওয়ার আগে জানানো হয় কাল থেকে ৬৫ বছর হয়ে গেছে যাঁদের তাঁদের বসে যেতে হবে। তাঁদের এককালীন টাকা বা কোনো সুবিধা নিয়ে আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত মানতে চাইছে না শ্রমিকরা। বোর্ড মিটিং হলের বাইরে ধর্না অবস্থান শুরু করে শ্রমিকরা। দুপুর থেকে সেই অবস্থান চলছে। শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জানান, চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলরদের তাঁরা বেরোতে দেবে না। কাল থেকে সব শ্রমিক কাজ বন্ধ রাখবে। কোনও কাজ তাঁরা করবে না।
এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় (Hooghly-Chinsurah Municipality) অচলাবস্থা তৈরি হয়। পুরসভার অস্থায়ী ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা তাঁদের বিগত দু মাসের বেতন দাবি নিয়ে পুরসভায় পুর প্রধানের কাছে আশ্বাস না পেয়ে শহরের অধিকাংশ জায়গায় স্ট্রিট লাইট বন্ধ করে প্রতিবাদ করে। এরপর হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় অস্থায়ী শতাধিক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মচারীদের বিক্ষোভ দেখান (Agitation)। তাঁরা অভিযোগ করেন, দু-মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও বেতন মিলছে না।