সোমনাথ মিত্র, হুগলি: তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন। পদ পাওয়ার দু’দিন পরেই ফিরলেন তৃণমূলে (TMC)। হুগলির খানাকুলের অড়ুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরেও হয়ে চলেছে দলবদলের খেলা।


ভোটের ফলে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠনের আগের দিন শাসকদলের ৩ জয়ী প্রার্থী যোগ দেন বিজেপিতে। বোর্ড গঠনের দিন বিজেপির সমর্থনে প্রধান হন তৃণমূলের টিকিটে জয়ী দেবাশিস সিংহ। উপপ্রধান হন বিজেপির জয়ী প্রার্থী। বোর্ড গঠনের দু’দিন পরেই গতকাল, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের প্রধানের দাবি, ভুল বুঝিয়ে তাঁকে দলে টেনেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি নস্যাৎ করে বিজেপির দাবি, দলবদল করালেও পঞ্চায়েত তাদের দখলেই থাকবে। 


 প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটপর্ব (Panchayat Election) মেটার পর থেকে দলবদলের ধারা অব্যাহত। বোর্ড গঠনের আগেও জারি রয়েছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে সম্প্রতি ফের দলবদলের ঘটনা ঘটে  বাঁকুড়ায় (Bankura)। ছাতনায় তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন বিজেপি ও নির্দলের দুই জয়ী প্রার্থী। দলবদলে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে দাবি শাসকদলের। যদিও চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে যোগদান করিয়ে পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতে চাইছে শাসকদল, বলে পাল্টা দাবি করে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের পরেও চলছে দলবদল। বিরোধী শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন জয়ী প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগেও একই ছবি দেখা যায় বাঁকুড়ার ছাতনায়। তৃণমূলে যোগ দেন শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থী গণেশচন্দ্র খাঁ। একইসঙ্গে শাসকদলে নাম লিখিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েতেরই জয়ী নির্দল প্রার্থী সৌরভ দে।


আরও পড়ুন, দেশে জ্বালানির দরে হেরফের, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ল কি কলকাতায় ?


মূলত পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল বিজেপি। কিন্তু, দলবদলের জেরে শেষ হাসি হাসল তৃণমূল। এমন কাণ্ড ঘিরে হইচই পড়ে যায় সম্প্রতি পুরুলিয়াতেও। জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০। বোর্ড গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার ১১। এবারের নির্বাচনে জয়পুর পঞ্চায়েতের ১০টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। তৃণমূলের দখলে যায় ৮টি আসন। ২টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। এদিকে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দল বদল করেন সম্প্রতি বিজেপির ২ জয়ী সদস্য। ২ নির্দল সদস্যও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। শাসকদলের দাবি, ১২ জন সদস্য-কে নিয়ে জয়পুর পঞ্চায়েত দখল করে তারাই।