সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈদ্যবাটি: বিধান রায়ের জায়গায় অম্বেডকরের ছবি। চিকিৎসক দিবসে হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটি পুরসভার (Baidyabati Municipality) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের মানপত্র ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কী করে হল এত বড় ভুল? প্রশ্ন চিকিৎসকদের একাংশের। যদিও পুরসভার দাবি, প্রিন্টিং মিসটেক।


মানপত্রে ছবি ঘিরে বিতর্ক: একজন কিংবদন্তি চিকিৎসক, বাংলার রূপকার। অন্যজন দেশের সংবিধান প্রণেতা। নাম শুনলেই তাঁদের ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে মানুষের মনে। কিন্তু সেই ছবি নিয়েই বিভ্রাট হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভায়। চিকিৎসক দিবসে বিধান রায়ের ছবির বদলে অম্বেডকরের ছবি দেওয়া মানপত্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের। গত ১ লা জুলাই ঘটা গরে চিকিৎসক দিবস পালন করে বৈদ্যবাটি পুরসভা। বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ১১০ জন বিশিষ্ট চিকিৎসককে। দেওয়া হয় ফ্রেমে বাঁধানো মানপত্র। বিতর্ক বেধেছে এই মানপত্র নিয়ে।  মানপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে জানানো হয় শুভেচ্ছা। সেই বার্তার পাশেই রয়েছে বি আর অম্বেডকরের ছবি। তার নীচে রয়েছে চিকিৎসকদের সিম্বল। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হয় চিকিৎসকদের একাংশ।                                                                                                      


কী জানাচ্ছে পুরসভা?


এতবড় ভুল কী করে হল? মানপত্র তুলে দেওয়ার আগে, কেন কারও চোখে পড়ল না এই ভুল? অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে স্বীকার করে ছাপাখানার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে পুরসভা। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, "আমরা যাকে করতে দিয়েছিলাম, সে কলকাতায় করতে দিয়েছিল। পুরো প্যাকিং করে জিনিসটাকে পাঠিয়েছিল। এর জন্য আমাদের একটু ভুল হয়ে গেছে, এটা একটু প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এই যে ভুলটা হয়েছে এই ভুলের জন্য তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।''           


গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, "বিধান চন্দ্র রায়ের জায়গায় অম্বেডকরের ছবিতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু অন্তত বাংলার মানুষ দেখছে না। আসলে এটা প্রিন্টিং মিস্টেক নয়, এটা মিস্টেক অব ডেমোক্রেসি, মিস্টেক অব পার্সেপশন।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Dr Anirban Datta Death: অনির্বাণ দত্তকে খুন, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ; চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্ত শুরু